বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: ক্রীড়া প্রতিবেদক: শেষ হলো এশিয়া কাপ। কলম্বোয় অনুষ্ঠিত দিবা রাত্রির ফাইনাল ম্যাচে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কাকে ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে ভারত আবার শিরোপা জয় করেছে। এশিয়া কাপে অষ্টম শিরোপা ভারতের। এশিয়া কাপের ১৬ আসরের মধ্যে অর্ধেকবারই তারা শিরোপা জয় করলো। এর পরেই শ্রীলঙ্কার অবস্থান। তারা ছয়বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আর এশিয়ার অপর শক্তিশালী দল পাকিস্তান জয় করেছে মাত্র দুইবার। এশিয়া কাপের শিরোপাগুলো এই তিন দেশ ভাগাভাগি করেছে।
একপেশে ফাইনাল। টানটানা উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে আসলেও ভারতের বিপক্ষে কোনো প্রতিরোধই গড়তে পারেনি শ্রীলঙ্কা। ভারতের বোলিংয়ের সামনে পড়ে তাদের অবস্থা এমন হয়েছিল যে, মাত্র ৫০ রানে অল আউট হয়েছে তারা। এশিয়া কাপের ফাইনাল অথচ শ্রীলঙ্কার মাত্র দুই ব্যাটার দুই অংকের রানের দেখা পেয়েছিলেন। তাদের একজন কুশাল মেন্ডিস। ১৭ রান করেছেন তিনি। অন্যজন দুসা হেমান্থা। ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। মাত্র ১৫.২ ওভারে সব উইকেট হারিয়েছিল শ্রীলঙ্কা।
শ্রীলঙ্কার এটা দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রান। তাদের সর্বনিম্ন ওয়ানডে স্কোর ৪৩। ২০১২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এ রান করেছিল তারা। ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বনিম্ন রানের স্কোর ৩৫। ২০০৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এ রান করেছিল তারা। ৩৫ রান রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রেরও। ২০২০ সালে নেপালের বিপক্ষে এ রান করেছিল তারা।
টস জয়ের পর প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক। তবে তার সিদ্ধান্ত যে এতটা ভয়ঙ্কর হবে তা হয়তো কল্পনাতেও আনতে পারেননি। প্রথম ওভার থেকেই ভারতীয় বোলাররা শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। যদিও জসপ্রিত বুমরাহ আঘাত শুরু করেছিলেন তবে শ্রীলঙ্কার সর্বনাশের যা করার তা করেন মোহাম্মদ সিরাজ। একই ৬ উইকেট নিয়েছেন। হ্যাটট্রিক করতে পারেননি, তবে এক ওভারে নিয়েছেন ৪ উইকেট। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট নিয়েছেন তিনি। শ্রীলঙ্কার বাকি তিন উইকেট নিজের ঝুলিতে পোড়েন হৃদিক পান্ডিয়া।
ভারতের জয় তো ম্যাচের শুরুতেই নিশ্চিত হয়ে যায়। এমনিতেই ভারতের ব্যাটিং লাইন ভয়ঙ্কর। তার ওপর মাত্র ১২ রানে শ্রীলঙ্কা ৬ উইকেট হারিয়েছিল। ফলে ভারতের জয়টা তখনই নিশ্চিত হয়ে যায়। মাত্র ৬.১ ওভারে ভারত প্রয়োজনীয় ৫১ রান তুলে নেয়। ইশান কিশান ২৩ ও শুভমান গিল ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন।