বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পর আজ বৃহস্পতিবার ইসরাইল সফরে যাচ্ছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। এই সফরে তিনি যত দ্রুত সম্ভব গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর কোনো রুট উন্মুক্ত করার অনুরোধ জানাবেন। একই সঙ্গে গাজায় আটকে পড়া বৃটিশ নাগরিকদের বের করে আনার উপায় খুঁজবেন। এ সময়ে তিনি ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট আইজাক হারজগ, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তারপর আঞ্চলিক অন্য দেশগুলো সফর করবেন। তার অফিসকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এতে বলা হয়, এ সফরে ৭ই অক্টোবর হামাসের রকেট হামলা থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত ইসরাইল ও গাজায় যেসব মানুষের প্রাণহানী হয়েছে তাতে তিনি শোক প্রকাশ করবেন। সতর্কতা দেবেন আঞ্চলিকভাবে এই যুদ্ধ আরও ছড়িয়ে পড়ার বিরুদ্ধে। সফরের আগে বিবৃতিতে ঋষি সুনাক বলেছেন, প্রতিটি বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যুই একটি করে ট্রাজেডি। হামাসের ভয়াবহ হামলার পর বহু প্রাণহানী হয়েছে।
তিনি আরও বলেছেন, মঙ্গলবার গাজার একটি হাসপাতালে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কয়েক শত ফিলিস্তিনির মৃত্যৃ এ অঞ্চল এবং বিশ্বের নেতাদের কাছে একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত হতে পারে, যার ওপর ভিত্তি করে এই যুদ্ধ আরও বিপজ্জনকভাবে ছড়িয়ে পড়া বন্ধে একত্রিতভাবে কাজ করতে হবে। এই প্রচেষ্টায় সামনের সারিতে থাকতে চায় বৃটিন।
উল্লেখ্য, এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত বৃটিশ সাতজন নাগরিক নিহত হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন ৯ জন। একদিকে ঋষি সুনাক যাচ্ছেন ইসরাইলে, অন্যদিকে তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি যাচ্ছেন মিশর, তুরস্ক ও কাতার সফরে। এসবের উদ্দেশ্য হলো এই যুদ্ধের একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান খোঁজা। বৃটেন বলেছে, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, জিম্মি মুক্তি এবং গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ হলো এই তিনটি দেশ। এ জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লেভারলি এসব দেশের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন যুদ্ধ যাতে আরও ছড়িয়ে না পড়ে তা নিয়ে। একই সঙ্গে মিশরের রাফা ক্রসিং খুলে দিতে, যাতে জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ পৌঁছানো যায় গাজায়। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই সীমান্ত খুলে দেয়ার খবর পাওয়া গেছে।