মহাখালী বাস টার্মিনাল সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির দপ্তর সম্পাদক মো. তারিকুল ইসলাম মানবজমিনকে বলেন, যাত্রীর অভাব। সব বাস বসে আছে। যাত্রী না থাকলে শূন্য সিট নিয়ে বাস ছাড়া যাচ্ছে না। যদিও কাউটারগুলো খোলা রাখা হয়েছে। দীর্ঘ ২ ঘণ্টা পর হয়তো একটা বাস ছাড়া সম্ভব হয়।
গাবতলী টার্মিনালের সৌদিয়া পরিবহনের প্রতিনিধি খুরশেদ আলম মানবজমিনকে বলেন, আজও দূরপাল্লার বাস ছাড়ছে না গাবতলী টার্মিনাল থেকে। তাদের পরিবহন সাধারণত কক্সবাজার, বান্দরবন ওইসব এলাকায় চলাচল করে। কিন্তু যাত্রীর অভাবে বাস ছাড়ছে না তারা।
গাবতলীতে ঢাকা-গোপালগঞ্জ দিগন্ত পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার জানান, আজও দূরপাল্লার বাস চলছে না। প্রস্তুতি আছে, তবে যাত্রী সংকট।
যানবাহন সংকটে মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে এমন চিত্র দেখা গেছে রায়ের বাগে।
এখানে বাসস্ট্যান্ডে কিছু যাত্রীকে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। তাজুল ইসলাম নামের একজন বলেন, সকাল থেকেই রাস্তা ফাঁকা দেখছি।
একজন ট্রাফিক পুলিশ জানান, মহাসড়কে অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ যানবাহনের চাপ কিছুটা কম রয়েছে। তবে যান চলাচলে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক আজিজুল অভিযোগ করে বলেন, ভোর থেকে সকাল আটটা সাড়ে আটটা পর্যন্ত প্রায় ৮০০ টাকা ভাড়া হয়। কিন্তু এখন ২০০-৩০০ টাকাও ভাড়া হচ্ছে না। কারণ জেলার পরিবহনগুলো তো ঢাকায় আসছে না, মানুষ কম হলে ভাড়া তো কম হবেই। মানুষের মনে উৎকণ্ঠা-আতঙ্ক রয়েছে কখন কী হয় এজন্য বের হচ্ছে না।