কুমিল্লা প্রতিনিধি :দেবিদ্বারে ৩ বখাটে কিশোর কর্তৃক ৩ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলার আসামীদের ৭দিনেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। সোমবার দুপুরে ভিক্টিমের পরিবার দেবিদ্বার উপজেলা প্রেসক্লাবে এসে এক সংবাদ সম্মেলনে ওই অভিযোগ তুলে ধরেন।
তারা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত ৩০ অক্টোবর বেলা আড়াইটার সময় উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের ভৈষেরকোট গ্রামের একটি নির্জন এলাকার ধান ক্ষেতে ঘটনাটি ঘটে। ওই দিন ভিক্টিম শিশু(৩) বাড়ির পাশে খেলা করছিল, এসময় জিহাদ খাঁন(১৫), সাঈদ খাঁন ও অজ্ঞাত আরো ১জনসহ ৩ বখাটে কিশোর এসে ভিক্টিম শিশুটিকে ফুসলে বাড়ির পাশে একটি ধান ক্ষেতে নিয়ে যায়, সেখানে ৩ কিশোর মিলে তার পরনের বস্ত্র খুলে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় তার সূর চিৎকারে ভিক্টিমের মা’সহ প্রতিবেশীরা দৌড়ে ঘটনাস্থলে গেলে ৩ কিশোর পালিয়ে যায়, অভিযুক্তরা স্থানীয় মোহনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম এবং নবম শ্রেণীর ছাত্র। ঘটনাস্থল থেকে পালানোর সময় তাদের স্কুলের বই-খাতাগুলো ধানক্ষেতে পড়েছিল।
এরই মধ্যে কুমেক হাসপাতালে ভর্তি করার পর ভিক্টিমকে ক্রাইম ক্রাইসেস সেন্টারে (ওসিসি) ডাক্তারী পরীক্ষা শেষ করা হয়। ভিক্টিম শিশুর বাবা বাদী হয়ে গত ২ নভেম্বর উপজেলার ১৬নং মোহনপুর ইউনিয়নের ভৈষেরকোট গ্রামের মো. জাকির হোসেনের পুত্র মো. জিহাদ খাঁন(১৫), মো. সবুজ খাঁনের পুত্র মো. সাঈদ খাঁন(১৬) ও অজ্ঞাতনামা আরো একজনসহ ৩জনকে অভিযুক্ত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দেবীদ্বার থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই দিনই কুমিল্লা ৪ নং বিচারিক আদালতের সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট ভিক্টিমের ২২ ধারায় জবানবন্দী রেকর্ড করা হয়। ঘটনার পর আজ ৭ দিন অতিবাহিত হতে চলছে। পুলিশ অভিযুক্তদের এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি। উপরন্ত আসামীদের স্বজনেরা মামলা তুলে নিতে ভিক্টিমের পরিবারকে নানা ভাবে হুমকী দিচ্ছে এবং হয়রানী করে আসছে। ন্যায় বিচার প্রার্থী হয়ে আমরা এখন জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। যারা এ বর্বরোচিতভাবে শিশুটির ধর্ষণের চেষ্টা করেছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ভিক্টিমের মা, বাবা, চাচা, জেঠাসহ স্বজনরা।
দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ কমল কৃষ্ণ ধর জানান, ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়েরের পর থেকেই আসামীরা পলাতক রয়েছে। আসামীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে।