বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের উপরাজনৈতিক প্রধান মুসা আবু মারজুক গত শনিবার বিবিসিকে দেয়া তার এক সাক্ষাতকারে জানান, হামাস কোন বেসামরিক নাগরিকদের হামলা বা হত্যা করেনি। হামলার সময় নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও বেসামরিক মানুষদের আঘাত করেনি কোন ফিলিস্তিনি সেনারা। তাদের লক্ষ্য ছিল শুধু ইসরায়েলের রিজার্ভ সেনা।
আবু মারজুক জানান, গত ৭ অক্টোবর শুধু তালিকাভুক্তদের উপর হামলা করা হয়েছিল। বরং ইসরায়েল প্রকাশ্যে সাধারণ মানুষের উপর হামলা চালিয়ে নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের হত্যা করে যাচ্ছে। তবে ইসরায়েল বলছে, ঐ দিনের হামলায় যে ১ হাজার ৪০০ জন নিহত হয়েছে, তাদের মধ্যে অধিকাংশই বেসামরিক নারী ও শিশু।
আবু মারজুক বিবিসিকে জানান, ‘আমরা আটক হওয়া ইসরায়েলিদের মুক্তি দিতে চাই, তবে তার আগে যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে। এছাড়াও আমাদের কাছে দু’জন রুশ-ইসরাইলি দ্বৈত নাগরিক আটক আছে। হামাস তাদের মুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কিন্তু ইসরায়েলের নির্বিচারে হামলার কারণে তা সম্ভব হয়নি’। তাদের মুক্তির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতেই হামাসের এ নেতা মস্কো সফর করছেন বলে জানা যায়।
৭ অক্টোবরে হামলার সম্পর্কে তিনি বলেন, হামলায় নিযুক্ত হামাসের সামরিক শাখা কাসেম ব্রিগেডের কমান্ডার মোহাম্মদ আল-দেইফ স্পষ্টতই শুধু ইসরায়েলের রিজার্ভ সেনাদের হামলার ও বেসামরিক মানুষের ওপর হামলা না করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। যোদ্ধারা তা যথাযথ ভাবে পালনও করেছে।
উল্লেখ্য, মুসা আবু মাজুককে বৈশ্বিক সন্ত্রাসী হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া ২০২১ সালে হামাসের রাজনৈতিক শাখাকেও সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে নিষিদ্ধ করে যুক্তরাজ্য সরকার।
গত এক মাসের যুদ্ধে, গাজায় নারী ও শিশু সহ ১০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। তবে এ সংখ্যা আরও অনেক বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজায় ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকে আছে হাজারো মানুষ।