যেসব মানুষ কোনো অন্যায় করেনি, তারা বেঁচে থাকার সামান্য মৌলিক অধিকার থেকেও বঞ্চিত। খাদ্য, পানি, ওষুধ, জ্বালানির সঙ্কটে জীবন্ত লাশের মতো বেঁচে আছেন অসংখ্য গাজাবাসী। হাসপাতালগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন আহত ও বাস্তুচ্যুত হাজার হাজার অভিভাবক ও তাদের সন্তানরা।
সেখানেও তারা এখন নিরাপদ নন। ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্টের প্রধান জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে বলেছেন, হাসপাতালগুলোকে ইচ্ছাকৃতভাবে টার্গেট করা হচ্ছে। সেখানে আশ্রয় নেয়া সাধারণ মানুষকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য এমনটা করা হচ্ছে। ইসরাইল বলেছে, গত দু’দিনে গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে এক লাখ ফিলিস্তিনি দক্ষিণ দিকে সরে গেছেন। অনেকে বলেছেন, অব্যাহত যুদ্ধের মধ্যে তারা এখনও অবরুদ্ধ অবস্থায় আছেন। এই রিপোর্ট লেখার সময় দাতব্য সংস্থা মেডিসিন্স সান্স ফ্রন্টিয়ার্স (এমএসএফ) জানিয়েছে, গত দু’তিন ঘন্টা ধরে নাটকীয়ভাবে তীব্র করা হয়েছে আল শিফা হাসপাতালে হামলা। সেখানে এক বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের স্টাফরা।
এমএসএফ বলেছে, হাসপাতালের ওপর হামলা বন্ধ করতে জরুরি আহ্বান জানাচ্ছি আমরা। একই সঙ্গে আহ্বান জানাচ্ছি মেডিকেল স্থাপনা, মেডিকেল স্টাফ এবং রোগীদের সুরক্ষিত রাখার পদক্ষেপ নিতে। এর আগে এমএসএফ জানায়, তারা হাসপাতালের স্টাফদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সক্ষম হচ্ছে না। তাদের ও সেখানে অবস্থানরত রোগীদের নিরাপত্তা নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এমএসএফ।