বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: গাজায় ইসরাইলের মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দায়িত্ব নিতে হবে। সোমবার চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ইসলামিক দেশগুলোর মন্ত্রীদের একটি সম্মেলনে এ কথা বলেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান। গাজায় যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তা পাঠানোর সুযোগ সৃষ্টিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশগুলো সফর করছেন সৌদি আরব ও অন্য ইসলামিক দেশগুলোর প্রতিনিধিরা। তারই অংশ হিসেবে চীন সফরে গিয়েছেন তারা। এ খবর দিয়েছে আরব নিউজ।
খবরে জানানো হয়, বেইজিংয়ে কূটনীতিকদের সাথে বৈঠকে সৌদি প্রিন্স ফয়সাল গাজায় যুদ্ধের অবসান এবং জীবন বাঁচাতে আরও আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমরা এখানে একটি স্পষ্ট বার্তা দিতে এসেছি। আমাদের অবিলম্বে যুদ্ধ এবং হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে হবে। আমাদের অবিলম্বে গাজায় মানবিক সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। প্রিন্স ফয়সাল যোগ করেন, আমরা চীন এবং অন্যান্য যেসব দেশ যুদ্ধের অবসান চায় তাদের থেকে সহযোগিতা আশা করি। তিনি গাজার বিপজ্জনক পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, সহিংসতা বন্ধ করার জন্য কার্যকর আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের প্রয়োজন।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গাজায় ১৩ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে ৫ হাজার ৬০০ জনই শিশু।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, বেইজিং মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনতে কাজ করতে ইচ্ছুক। আসুন আমরা গাজার পরিস্থিতি দ্রুত শান্ত করতে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি পুনরুদ্ধার করতে একসাথে কাজ করি। তিনি আরও বলেন, বেইজিং আরব ও মুসলিম দেশগুলির ভাল বন্ধু এবং ভাই। ফিলিস্তিনি জনগণের বৈধ জাতীয় অধিকার এবং স্বার্থ পুনরুদ্ধারের দাবিকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে চীন। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে গাজায় উদ্ভূত মানবিক বিপর্যয় বন্ধ করতে এবং এই ট্র্যাজেডিকে আরও ছড়িয়ে পড়া থেকে রোধ করতে জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ওয়াং ই বলেন, গাজার পরিস্থিতি বিশ্বের সমস্ত দেশকে প্রভাবিত করে। চীন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গাজায় লড়াই বন্ধ করতে, মানবিক সংকট দূর করতে এবং ফিলিস্তিনের একটি ন্যায্য এবং দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের জন্য কাজ করবে। সোমবার চীনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সৌদি আরব, জর্ডান, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিস্তিন এবং অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশনসহ অন্য বেশ কয়েকটি সংস্থার কর্মকর্তারা।