বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার মধ্যে দিয়ে শেষ হলো উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস এবং ইসরায়েলের গত ৭ দিনের যুদ্ধবিরতি। শুক্রবার গাজায় ফের অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী।
গাজার প্রথান শহর গাজা সিটি থেকে এএফপির প্রতিনিধি জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় সকাল সাতটা (বাংলাদেশ সময় বেলা ১১ টা) থেকে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী ও স্থলবাহিনীর অভিযান শুরু হয়েছে।
হামলার কিছু সময় আগে দেওয়া এক বিবৃতিতে আইডিএফ বলেছে, যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী শুক্রবার যেসব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার কথা হামাসের— তা এখনও সরবরাহ করেনি ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী এই গোষ্ঠীটি।
পাশাপাশি হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে রকেট ছোড়ার অভিযোগও আনা হয়েছে আইডিএফের বিবৃতিতে।
গাজা উপত্যকার প্রধান শহর গাজা সিটি এবং উত্তর গাজার বাসিন্দারা এএফপিকে জানিয়েছেন, হামাস ও তার মিত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলি সেনাদের সংঘাত ও গুলি বিনিময়ের শব্দে শুক্রবার ঘুম ভেঙেছে তাদের।
গাজার উপত্যকার মধ্যাঞ্চল বা কেন্দ্রে অবস্থিত নুসেইরাত এবং বুরেইজি শরণার্থী শিবিরেও গোলা ছুড়েছে ইসরায়েলি বাহিনীর ট্যাংকগুলো।
দেড় মাসেরও বেশি সময় যুদ্ধের পর অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে নতি স্বীকার করে গত ২৫ নভেম্বর অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ এবং হামাস। গত নভেম্বরের মাঝামাঝি যুদ্ধের অন্যতম মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতারের মাধ্যমে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা বরাবর একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছিল হামাসের হাইকমান্ড।
সেই প্রস্তাবে গোষ্ঠীটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ইসরায়েল যদি গাজা উপত্যকায় চার দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে, রাফাহ ক্রসিংয়ে অপেক্ষারত ত্রাণ, জ্বালানি ও মানবিক সহায়তা পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে প্রবেশ করতে দেয় এবং ইসরায়েলি কারাগারগুলো থেকে অন্তত ১৫০ জন বন্দিকে মুক্তি দেয়, তাহলে নিজেদের হাতে থাকা জিম্মিদের মধ্যে থেকে ৫০ জনকে ছেড়ে দেবে হামাস।