বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : উচ্চ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ঘোষিত এবারের বাজেট আশাব্যঞ্জক হলেও বাস্তবায়নে সরকারকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ। এছাড়া বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশাল রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সঠিক দিক-নির্দেশনা প্রদানের দাবি করেন তিনি। বৃহস্পতিবার বিসিআই বোর্ডরুমে প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট পর্যালোচনায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিক্রিয়া জানায় বিসিআই।
সংগঠনটির সভাপতি লিখিত বক্তব্যে বলেন, প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে যে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ প্রয়োজন তার দিকনির্দেশনা চায় বিসিআই। কারণ বিগত কয়েক বছরে বেসরকারি বিনিয়াগ ২৩ শতাংশের কাছাকাছি আছে। তিনি বলেন, বাজেটে রাজস্ব আহরণে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা। যা সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ১০.৬৫% বেশি। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। যা বিগত বছরের তুলনায় ৯.৬৩% বেশি।
বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশাল রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অনেকটা চ্যালেঞ্জিং হবে। আমরা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদানের অনুরোধ করছি।
অনোয়ার-উল আলম চৌধুরী বলেন, সরকারের বিভিন্ন সংস্থাকে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করতে হবে। তারা ভাবে বেসরকারি খাত সব চুষে খাচ্ছে। তাদের উপর জুলুম করা হয়। এমন ভাবলে হবে না। বেসরকারি খাত বিনিয়োগ আনছে, কর্মসংস্থান করছে। তাদের সহায়তা করে মিলে-মিশে এগিয়ে যেতে হবে।
এদিকে প্রস্তাবিত বাজেটে বেশ কিছু প্রস্তাবকে সাধুবাদ জানিয়েছে বিসিআই। এর মধ্যে কোনো করদাতা নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ১০% তৃতীয় লিঙ্গের শ্রমিক অথবা শতাধিক কর্মী নিয়োগ সাপেক্ষে ৫ শতাংশ কর রেয়াতের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা খুবই কার্যকরী। এছাড়া দেশীয় পণ্য উৎপাদনকারী শিল্পে ২০ বছর, হোম অ্যাপ্লায়েন্স শিল্পে ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে ১০ বছর কর অব্যাহতি এবং লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে যন্ত্রাংশ উৎপাদনে ১০ বছর কর অব্যাহতি প্রদান করায় অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছে বিসিআই।
এদিকে কিছু সুপারিশও করছে বিসিআই। এর মধ্যে ৩ কোটি টাকার টার্নওভারে ন্যূনতম কর হার ০.৫০% থেকে কমিয়ে ০.২৫ % করা হয়েছে। তবে টার্নওভারের ন্যূনতম হার ৪ কোটিতে উন্নীত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
অন্যদিকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ এবং ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের উপর ১৫% কর আরোপের প্রস্তাব পুনর্বিবেচনার প্রস্তাব করেছে সংগঠনটি। তারা বলছে, এ কর আরোপে দেশে উচ্চশিক্ষার ব্যয় বৃদ্ধি পাবে।