আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবার সিলেট-৬ (বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ) আসনে সমঝোতার বলি হতে পারেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
এ আসনে নাহিদকে নির্বাচিত করতে দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটের বলি হয়েছিলেন যথাক্রমে সিলেট-৫ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ ও সিলেট-৬ আসনে বিকল্পধারা মনোনীত প্রার্থী শমসের মবিন চৌধুরী।
গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নুরুল ইসলাম নাহিদকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন বিকল্প ধারার প্রার্থী শমসের মবিন চৌধুরী। আর দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাহিদকে বিনা ভোটে বিজয়ী করতে বলি হতে হয়েছিল পাশের আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী মাসুক উদ্দিনকে।
২০১৪ সালের নির্বাচনে সিলেট-৫ আসনে মাসুক উদ্দিন আহমদ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসাবে মনোনয়নপত্র দাখিল করছিলেন। সেবার সিলেট-৫ ও সিলেট-৬ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসাবে মনোনয়নপত্র জমা দেন সেলিম উদ্দিন।
সমঝোতার মাধ্যমে ক্ষমতাসীনরা সিলেট-৫ আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিলে সিলেট-৬ আসনে দাখিল করা মনোনয়নপত্র প্রত্যহার করেন সেলিম উদ্দিন। সিলেট-৬ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নুরুল ইসলাম নাহিদের বিজয় নিশ্চিত করতে জোটের বলি হন মাসুক উদ্দিন।
এবার বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের দুই চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় ১১ নেতা নাহিদের বিপক্ষে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তবে দল শেষ পর্যন্ত নাহিদের ওপরই আস্থা রাখে। শমসের মবিন চৌধুরী সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। তিনি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০১৮ সালে বিকল্পধারা বাংলাদেশে যোগ দিয়ে গত নির্বাচনে এ আসনে দলীয় প্রার্থী হন।
এখন তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরী এ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। যাচাই-বাছাই শেষে এ আসনের সব প্রার্থী বৈধ হয়েছেন।
শমসের মবিন চৌধুরীর সমর্থকদের দাবি, ক্ষমতাসীন দলের সহযোগিতায় তিনি তৃণমূল বিএনপির দায়িত্ব নিয়েছেন। গত নির্বাচনে শমসের মবিন মহাজোটের প্রয়োজনে নাহিদকে ছাড় দিয়েছেন, এবার শমসের মবিনকে ছাড় দেওয়ার কথা। এমনটি হলেও ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন পরিষ্কার হতে পারে। তা না হলে কে হচ্ছেন এ আসনের পরবর্তী এমপি-নাহিদ না সমশের, সেটা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত।