বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: শুক্রবার দুপুরেও যা ছিল গেরুয়া, সন্ধ্যা নামার আগেই তা নীল আর সাদা। তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরেই মুকুল রায় বদলে ফেললেন তার টুইটার হ্যান্ডল। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ‘আবার তৃণমূল নেতা’ মুকুলের প্রথম টুইট মমতা ব্যানার্জি ও অভিষেক ব্যানার্জির সঙ্গে তার ছবি। সেই ছবিতে রয়েছেন পুত্র শুভ্রাংশুও।
এর আগে দীর্ঘ চার বছর পর পুরনো দল পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরেন দলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য বর্তমানে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি ও বিধায়ক মুকুল রায়।
করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরে বেশ কিছুদিন কোনো কিছু টুইট করেননি মুকুল। বৃহস্পতিবার চলচ্চিত্র পরিচালক বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের মৃত্যুতে শোক প্রকাশের আগে শেষবার টুইট করেছিলেন গত ১৩ মে। এদিন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইট করেন তিনি।
তবে গত ৮ মে অর্থাৎ ৩৩ দিন আগে টুইটারে মুকুল রায় লিখেছিলেন, ‘রাজ্যে গণতন্ত্র ফেরাতে বিজেপি’র সৈনিক হিসেবে আমার লড়াই চলবে। আমি সকলকে কল্পনা আর অনুমান বন্ধ করার অনুরোধ করছি। আমার রাজনৈতিক পথ নিয়ে সংকল্পে অবিচল আমি।’
আসলে সেই সময় থেকেই মুকুলের বিজেপি ছাড়ার ইঙ্গিত মিলেছিল। কৃষ্ণনগর উত্তরে জয়ের পরে ৬ মে বিধানসভায় শপথ নিতে আসার দিনই মুকুলের আচরণে শুরু হয় জল্পনা। মুখ্যমন্ত্রী এবং মন্ত্রীরা যে গেট দিয়ে বিধানসভায় প্রবেশ করেন, সেই গেট দিয়েই ঢোকেন মুকুল। তিনি এসে তৃণমূল পরিষদীয় দলের রুমেও যান। সেখানে এক সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলার পরে যান শপথগ্রহণ কক্ষে।
প্রোটেম স্পিকার সুব্রত মুখোপাধ্যায় শপথবাক্য পাঠ করানোর পরে অধিবেশন কক্ষে থাকা তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর সঙ্গেও বেশ কিছুক্ষণ কথা বলতে দেখা যায় মুকুলকে। এরপর থেকেই জল্পনা তৈরি হয়, মুকুল কি তবে তৃণমূলে ফিরে যেতে পারেন? জল্পনা আরও বেড়ে যায় ঠিক তার পরের দিন ৭ মে বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ডাকা বিধায়কদের বৈঠকে তার উপস্থিতি। যদিও পরের দিন সকাল হতে না হতেই টুইট করে জল্পনায় পানি ঢেলে নিজের ‘সংকল্প’-এর কথা জানিয়েছিলেন মুকুল। এখন এটা স্পষ্ট যে সেই সময় ‘আপাতত’ অবস্থান জানিয়েছিলেন বিজেপির সাবেক সহ-সভাপতি।