মোহাম্মদ তারেক
বাংলাদেশের আধুনিক
স্থাপত্য ধারার পথিকৃৎ স্থাপত্যাচার্য মাজহারুল ইসলাম। তার নকশায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা
অনুষদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নান্দনিক স্থাপনাগুলো কালজয়ী হয়ে থাকবে বলে মনে করেন স্থাপত্যবিদরা । স্থাপত্যাচার্য মাজহারুল ইসলামের শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট আয়োজিত মেমোরিয়াল লেকচার অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, স্থাপত্যাচার্য মাজহারুল ইসলামের কাজে একদিকে যেমন সৌন্দর্য ও নান্দনিকতা প্রকাশ পেয়েছে ঠিক তেমনি স্থানীয় প্রকৃতি ও পরিবেশকে অভিযোজন করে প্রকৃতির আলো বাতাসের সর্বোত্তম ব্যবহার করা হয়েছে । ষাটের দশকে স্থাপত্যাচার্য মাজহারুল ইসলাম পরিবেশের কথা বলেছেন। আজ এতদিন পর সারা বিশ্ব পরিবেশ নিয়ে কার্বন নিঃসরণের ব্যাপারে সচেতন হয়েছে । নতুন প্রজন্মের স্থপতিরা মাজহারুল ইসলামের নির্মাণশৈলী উপলব্ধি করে কাজ করলে নিজেরাই কালো কালোতীর্ণ শিল্পকর্ম সৃজনে সক্ষম হবেন । অনুষ্ঠানে স্থপতি মাজহারুল ইসলামের বর্ণাঢ্য জীবন ও কর্ম নিয়ে উপস্থাপন করেন স্থপতি সামসুল ওয়ারেস তার বক্তব্যে মাজহারুল ইসলামের বিভিন্ন সময়ের করা স্থাপত্য কাজের আঙ্গিক বিশ্লেষণ করেন। তিনি বলেন,এ দেশে আধুনিক স্থাপত্য কলা এসেছে মাজহারুল ইসলামের হাত ধরে। তিনি পরিবেশ, সংস্কৃতি বিশ্লেষণ করে স্থাপত্য চর্চা করতেন।তিনি খুব দ্রুত কোনো কিছু শিখতে পারতেন। ফলে বিশ্ব মানের সব স্থাপত্য তিনি তৈরি করতে পেরেছিলেন। তিনি নতুন চিন্তা গ্ৰহন করে কাজ করতেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট এর সভাপতি স্থপতি প্রফেসর ড খন্দকার সাব্বির আহমেদ ও স্থাপত্যাচার্য মাজহারুল ইসলামের শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক স্থপতি কাশেফ মাহবুবচৌধুরী বক্তব্য রাখেন।ছবি সংগ্রহ মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টু