হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে নাশকতা সৃষ্টির প্ররোচণা দেওয়ার অভিযোগে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ বিএনপির সভাপতি নিপুণ রায়কে আটক করা হয়েছে। সম্প্রতি একটি অডিও ক্লিপে তাকে যানবাহনে আগুন ধরানোর নির্দেশ দিতে শোনা গেছে।
ওই অডিও ক্লিপে কেরানীগঞ্জের বিএনপি নেতা আরমানকে হেফাজতের ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার নির্দেশনা দেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, নিপুণকে বলতে শোনা যায়, দাউদাউ করে জ্বলতে হবে এবং আর সেই ভিডিও করে পাঠালে, তিনি তা ‘জায়গা মতো’ পাঠাবেন।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদর দফতর জানায়, নিপুণ রায় চৌধুরী রোববার (২৮ মার্চ) হেফাজতের হরতালে তার দলীয় ক্যাডারদের গাড়ি পোড়ানোর নির্দেশনা দেন। নাশকতার নির্দেশদাতা হিসেবে রোববার বিকেলে তাকে আটক করা হয়। এর আগে নিপুণ রায়ের নির্দেশনা পালনকারী কেরানীগঞ্জের স্থানীয় বিএনপি নেতা আরমান, খোরশেদ ও শাহীনকে আটক করে র্যাব।
নিপুণ রায় ও আরমানের ওই অডিও ক্লিপের কথোপকথনে প্রথমে নিপুণ রায় ফোন করেন।
অডিও ক্লিপের কথোপকথন-
নিপুণ রায়: আরমান ভাই, এলাকাতেই তো আছেন তাই না? কালকে তো হরতাল, একটা কিছু করা যাবে না?
আরমান: কী করতে হবে বলেন।
নিপুণ রায়: ধরায় দেন।
আরমান: ওকে ঠিক আছে।
নিপুণ রায়: বাস হোক যেটায় হোক, একদম পুরা, ফুল ধরবে, ফুল ধরবে। একটু দূর থেকে ভিডিও ছবি আমারে পাঠাবেন, অবশ্যই অবশ্যই। ঠিক আছে? আমি কিন্তু জায়গামতো পাঠাবো। হ্যাঁ, ওইটা মাথায় রাখবেন। ঠিক আছে, আজকেই আজকেই।
আরমান: ওকে।
নিপুণ রায়: বের হন।
আরমান: ইনশাল্লাহ।
নিপুণ রায়: এটা আমি দেখতে চাই। একদম দাউদাউ।
এরপর আরমানের ফোন রিসিভ করেন নিপুণ রায়। সেখানে বলা হয়েছে-
আরমান: ভিডিও করতে পারিনি। ছবি পাঠিয়েছি। লীগের লোকজন ঘেরা। পুলিশ ঘিরে রেখেছে।
নিপুণ রায়: ওকে, সরে দাঁড়ান।
আরমান: সরে গেছি গা।
নিপুণ রায়: হোয়াটসঅ্যাপে পাঠান।
আরমান: হুম, হোয়াটসঅ্যাপেই পাঠাইছি।