কাজী মিথিলা মুন। একাধারে তিনি একজন ফ্যাশন ডিজাইনার, মডেল, অভিনেত্রী এবং করপোরেট পারসোনালিটি। চট্টগ্রামের মেয়ে মিথিলা ফ্যাশন ডিজাইনিং-এর মাধ্যমে চট্টগ্রাম থেকেই তার ব্যতিক্রমি প্রতিভার স্বাক্ষর রাখতে শুরু করেন ২০১৭ সাল থেকে। সময় গড়িয়েছে ৬ বছর । এ সময়ের মধ্যেই মিথিলা ঢাকা, চট্টগ্রাম ছাড়িয়ে কাজ করেছেন ভারতের কলকাতা ও মুম্বাইতেও। যুক্ত হয়েছে করপোরেট প্রফেশনালিজমে। মেধা আর সৃজনশীলতার কারনে মিথিলা ক্রমেই ছাড়িয়ে যাচ্ছেন নিজেকে।
মিথিলা মুন চট্টগ্রামের একজন মডেল এবং ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে নিজেকে তৈরি করতে শুরু করেন ২০১৭ সাল থেকে। ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে পড়াশোনা এবং এই সেক্টরে কাজের সুবাধে নিজেকে একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবেই প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন মিথিলা। কিন্তু নিজের অপরূপ সৌন্দর্য্য আর শারিরীক গঠনের কারনে মডেল হিসেবেও ডাক পড়ে তার। সুযোগ পেয়ে মডেল হিসেবেও তিনি প্রতিভার স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হন । এর ফলে তিনি চট্টগ্রাম ছাড়িয়ে ডাক পান ঢাকাতেও। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফ্যাশন শো. ফ্যাশন প্যারেডে পারফরমেন্স করার সুযোগ পেয়ে তিনি সবার নজর কাড়তে সক্ষম হন।
এরই ধারাবাহিকতায় মিথিলা ঢাকা ও চট্টগ্রামের পাঁচ তারকা হোটেল, মুম্বাই, কলকাতাতেও কাজ করার সুযোগ পেয়ে পারফর্ম করে সুনাম কুড়িয়েছেন। এছাড়া তিনি ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে কাজ করেছেন স্বনামধন্য শৈল্পিক ও ‘আর্ট’ ফ্যাশন ব্র্যান্ডসহ বিভিন্ন লাইফস্টাইল ব্র্যান্ডের সাথে।
মিথিলা শুধুমাত্র ফ্যাশন ডিজাইনার বা মডেল হিসেবেই নিজেকে থামিয়ে রাখেননি । সুযোগ পেয়ে কাজে লাগিয়েছে অভিনয়ের ক্ষেত্রেও তার অনন্য প্রতিভার। মিথিলা কাজ করেছে বৈশাখী টেলিভিশনসহ বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের একাধিক ধারাবাহিক নাটকে। বর্তমানে শুটিং চলছে স্মৃতির আল্পনা ও মহাপণ্ডিত নামের দুটি নাটকের। স্মৃতির আল্পনা নাটকে মিথিলাকে দেখা যাবে নিলয় আলমগীরের বিপরীতে।
সম্প্রতি মিথিলা ভারতের বিখ্যাত মিউজিক প্রতিষ্ঠান ‘টি সিরিজের’ ব্যানারে একটি মিউজিক ভিডিওকে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন। তার এই মিউজিক ভিডিওটি সহসা রিলিজ হবে বলে জানান মিথিলা। করপোরেট প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মিথিলা চাকরির পাশাপাশি ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে পড়ছেন ঢাকার একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে।
বর্তমানে ঢাকার একটি বিখ্যাত বিদেশী পোশাক প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানে ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে কর্মরত মিথিলা জানান. তিনি নিজেকে একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবেই পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। ফ্যাশন ডিজাইনিং-এ দেশে বিদেশে আরও সুনামের সাথে কাজ করতে চান তিনি।
করপোরেট পারসোনালিটি, ফ্যাশন ডিজাইনার, মডেল, অভিনেত্রী সব পরিচয় ছাড়িয়ে মিথিলার আরও একটি বড় পরিচয় তিনি এতিম, পিতৃ-মাতৃহীন কন্যা শিশুদের জন্য কাজ করেন। চট্টগ্রামের বহুল পরিচিত কন্যা শিশুদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল ‘উপলব্দি’ নামক স্বেচ্ছাসেবি প্রতিষ্ঠানের সাথে গত ১০ বছর ধরে যুক্ত আছেন মিথিলা। উপলব্দি’র কন্যা শিশুদের কাছে মিথিলা মায়ের মতো, মিথিলা তাদের অভিভাবক কিংবা বড় বোনের মতো। দেশে-বিদেশে যত ব্যস্তই থাকে মিথিলা প্রতিমাসে অন্তত একবার হলেও এই অভিভাবকহীন শিশুদের সাথে উপলব্দির সাথে কাটান নিজের একান্ত সময়। তাদের সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করেন। ভালোবাসার বিনিময় করেন। উপলব্দির মাধ্যমে মিথিলা বছরের পর বছর তার মানবিক আন্তরিক কাজের স্বাক্ষর রেখে চলেছেন।আলোক চিত্রশিল্পী মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টু তোলা।