বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরাকে তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
খান এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন রাষ্ট্রীয় উপহার আত্মসাৎ এবং বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে।
আদালত ইমরান খানকে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি সংসদীয় নির্বাচনের আগে কোনো সরকারি পদে থাকার জন্যও অযোগ্য ঘোষণা করেন।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সাইফার বা গোপন তারবার্তা ফাঁসের মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মাহমুদ কুরেশিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন একটি আদালত।
ইমরান খান ও শাহ মাহমুদ কুরেশির বিরুদ্ধে সাইফার মামলাটি করেছে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফআইএ)।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত বছর ওয়াশিংটনে নিযুক্ত পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত ইসলামাবাদে একটি গোপন নথি পাঠিয়েছিলেন। তিনি এটি প্রকাশ করে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তার আইন লঙ্ঘন করেছেন। যদিও ইমরান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
পিটিআইয়ের দাবি, এই নথিতে ইমরানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি ছিল। একই মামলায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিকেও আসামি করা হয়। তিনিও নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।
সাইফার মামলার বিচারকাজ করতে দেশের অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে একটি বিশেষ আদালত প্রতিষ্ঠিত করা হয়। এই আদালত রাষ্ট্রীয় গোপন নথির অপব্যবহারের দায়ে তাদের দোষী সাব্যস্ত করে ১০ বছর করে সাজা দিয়েছেন।
২০২২ সালের এপ্রিলে সংসদে বিরোধীদের অনাস্থা ভোটে হেরে সরকার থেকে বিদায় নেন ইমরান খান। এরপর থেকে একের পর এক আইনি জটিলতায় মধ্যে রয়েছেন তিনি। গত বছরের আগস্টে এক দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে তিন বছরের জেল খাটছেন ইমরান খান। এ ছাড়া এমন এক সময়ে দেশের প্রধান বিরোধী নেতা ইমরান খানকে এই সাজা দেওয়া হলো যখন পাকিস্তানজুড়ে নির্বাচনী হাওয়া বইছে। অবশ্য এই নির্বাচনে ইমরান ও তার দল পিটিআইকে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি।