বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : গ্রামীণ টেলিকমের কর্মীদের লভ্যাংশের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দেন। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন দুদকের সহকারী পরিচালক (প্রসিকিউশন) মো. আমিনুল ইসলাম।
এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন দেয় দুদক।
দুদক সূত্র জানায়, ড. ইউনূস ছাড়া অভিযোগপত্রে গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম এবং এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী ও জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম এবং জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের দপ্তর সম্পাদক মো. কামরুল হাসানের নাম রয়েছে।
অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিদের মধ্যে কামরুল হাসানের নাম তদন্তের পর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বাকি ব্যক্তিদের নাম এজাহারে ছিল।
আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এ মামলায় অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জন জামিন নেননি। জামিনে আছেন কেবল পারভীন মাহমুদ। ড. ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছে দুদক।
দুদকের সহকারী পরিচালক (প্রসিকিউশন) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, এ মামলায় আজ বৃহস্পতিবার আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। আজই নথিপত্র আদালতের কাছে উপস্থাপন করা হবে।
গত বছরের ৩০ মে দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসামিরা ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অবৈধভাবে অর্থ স্থানান্তর করা হয়েছে, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধ।
এর আগে দুদক সচিব মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ-সংবলিত একটি প্রতিবেদন দুদকে পাঠিয়েছিল কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। দীর্ঘ অনুসন্ধান করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে মামলা করে দুদক। সেই মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়ার অনুমোদন পাওয়া গেছে।