বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সেনা সদস্যদের পাশাপাশি হাজার হাজার গাছ কেটেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কালিমন্দিরে আওয়ামী লীগ বন ও পরিবেশ উপকমিটির আয়োজনে বর্ষার মৌসুমের শুরুতে ‘চার মাসব্যাপী চারারোপণ ও পরিচর্যার’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দু-একটি গাছ কাটা হয়েছিল, সেটা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, প্রশ্ন তুলতেই পারেন। কিন্তু তার চেয়ে বহুগুণে বেশি গাছ আমরা এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লাগিয়েছি, সেটা কেউ দেখছে না। আজকেও আমরা এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকেই বেছে নিয়েছি গাছ লাগানোর জন্যই।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এই উদ্যান এমন ছিল না। এই উদ্যানে গাছ লাগিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু, এই উদ্যানে গাছ লাগিয়ে আরও দৃষ্টিনন্দন করেছেন আমাদের বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। অথচ এই উদ্যানে গাছ কেটে শিশু পার্ক নির্মাণ করা হয়েছিল।’
ক্ষমতাকে নিষ্কণ্ট করতে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান হাজার হাজার গাছ কেটেছিলেন দাবি করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জিয়াউর রহমান যখন রাষ্ট্রক্ষমতায়, তখন বাংলাদেশে একটি অদ্ভুদ তৎপরতা চালু করেছিল, সেটা হচ্ছে কারফিউ। প্রতিদিন রাতের বেলায় কারফিউ। ঢাকা চট্রগ্রামে বছরের পর বছর কারফিউ। ঢাকার রাস্তার দুই পাশে গাছপালা ছিল, সেই গাছপালাগুলো জিয়াউর রহমান সব কেটে ফেলেছেন।’
‘জিয়াউর রহমানকে নাকি, কেউ একজন বলেছিল, গাছের ফাঁক দিয়ে আপনাকে গুলি করতে পারে। সে জন্য সব গাছ কেটে ফেলেছে, ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করার জন্য জিয়াউর শুধুমাত্র সেনাবাহিনীর কয়েক হাজার অফিসার আর জোয়ানকে হত্যা করেছে তা নয়, ঢাকা শহরের হাজার হাজার গাছও কেটে ফেলেছে।’
এ সময় পরিবেশবাদীদের সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আর আমরা হেফাজতকে দেখলাম, গাছের কী দোষ? বিএনপি জামাত মিলে ঢাকা শহরের রাস্তার ধারের সব গাছ কেটে ফেলেছে। যারা পরিবেশ নিয়ে কাজ করে তখন তাদের নিশ্চুপ থাকতে দেখেছি। যেটা বিব্রতকর।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের গত বার বছরের বৃক্ষ আচ্ছাদিত জমির পরিমাণ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বিএনপি জামায়াত ক্ষমতায় থাকার সময় বনভূমির পরিমাণ আট শতাংশ থেকে এই সাড়ে বার বছরে তা ১২ শতাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে।’
কোন একটি গোষ্ঠী দেশে পুতুল সরকার পরিচালনা করছে, বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার, শেখ হাসিনার সরকার একটি শক্তিশালী সরকার। শেখ হাসিনা সরকার জনগণের শক্তিতে বলীয়ান একটি সরকার। জনগণ পরপর তিনবার রায় দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া দেশের জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ, উনাকে আমি সন্মান করি। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার ডাক নাম পুতুল। এজন্যই সম্ভবত পুতুল কথাটা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মনে শুধু ঘুরপাক খায়।’
বন ও পরিবেশ উপকমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ‘বর্ষার মৌসুমের শুরুতে আষাঢ়ের প্রথম দিনে ‘চার মাসব্যাপী চারারোপণ ও পরিচর্যার’ কাজ শুরু করছি। বৃক্ষরোপণের শ্রী বৃদ্ধি করার জন্য আজকের এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। আমরা এই চার মাসব্যাপী কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় সারা দেশে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া টার্গেট আমরা ফিলাপ করবো।’