বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: ভরাডুবির মধ্যে দিয়ে চলমান বিপিএলে যাত্রা শেষ করল দুর্দান্ত ঢাকা। আসরের রাউন্ড রবিন পর্বের ১২ ম্যাচের মধ্যে খালেদ মাহমুদ সুজনের শিষ্যরা মোটে একটিতে জিতেছে। প্রথম দল হিসেবে টুর্নামেন্টের সব খেলাই শেষ তাদের। ঢাকার হয়ে খেলার জন্য শেষদিকে এসেছিলেন বিদেশি ক্রিকেটার অ্যাডাম রসিংটন। সবার আগে নিজেদের যাত্রা শেষ হওয়ায় আক্ষেপ ঝরল তার কণ্ঠে।
গতকাল (শনিবার) ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে রসিংটন বলেন, ‘ক্রিকেট খেলার জন্য এটা দারুণ পরিবেশ। এখানে ভক্তরাও দারুণ। ব্যক্তিগতভাবে বলব আরও রান করে দলের জন্য অবদান রাখতে পারলে ভালো হত। ৩ ম্যাচ খেললাম ৩ ধরনের কন্ডিশনে। এখানে বড় বিষয় হচ্ছে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া।’
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে গতকাল শেষ ম্যাচ খেলল ঢাকা। যেখানে ৬ বল মোকাবিলায় মাত্র ১ রান করে আউট হন রসিংটন। নিজের আউট হওয়া বল নিয়ে ইংল্যান্ড ক্রিকেটার বলেন, ‘অন্য কোনোদিন হয়তো এটা চার হয়ে যেত এবং রানরেটের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রান তোলার চেষ্টা করতাম আমি। তবে যা হয়েছে সত্যি খুবই হতাশাজনক। ৩ ম্যাচেই দলের জন্য আরও অবদান রাখতে পারলে ভালো হত। ভালো লাগত দলকে কিছু ম্যাচ জেতাতে পারলেও।’
চট্টগ্রামের দেওয়া ১৬০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৯ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ঢাকা। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকদের সারিতে সামনে থাকা নাঈম শেখ অনেকক্ষণ ক্রিজে থাকলে, সেভাবে সুবিধা করতে পারেননি। ৩৫ বলে ২৯ রান করেন তিনি। মাঝে নিয়মিত উইকেট পতনের বিপর্যয় কিছুটা সামলানোর চেষ্টা চালান অ্যালেক্স রস (৫৫)। শেষদিকে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও ইরফান শুক্কুর ছোট্ট ঝড় চালালেও তা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। ঢাকা ৫ উইকেট হারিয়ে সর্বসাকুল্যে তোলে ১৪৯ রান।
ম্যাচ হারের জন্য নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোকে দায়ী করেন রসিংটন, ‘আসলে আমরা বেশ দ্রুত উইকেট হারিয়েছি। পরে আমরা রানরেট থেকে পিছিয়ে পড়লাম। মাঝে কিছুটা ইনিংস পুনর্গঠনের চেষ্টা করেছি, তবে ততক্ষণে রানরেট বেড়ে গেছে। এরপর আমরা গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট হারিয়েছি নিয়মিত। শেষদিকে রানরেট বেড়ে ১২-১৩ হয়ে যাচ্ছিল। তখন বিষয়টা বেশ কঠিন হয়ে যায়। নতুন ব্যাটাররা ক্রিজে আসে। এটাই আসলে হারের কারণ।’