বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: মাহে রমাদানের প্রস্তুতির মাস হলো রজব ও শাবান মাস। রসুল (সা.) এ দুই মাসে নিজে রমাদানের প্রস্তুতি গ্রহণ করতেন এবং সাহাবিদেরকে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে তাকিদ দিতেন। শাবান মাসে এমন একটি রাত্রি রয়েছে, যা রমাদানের আগমনী বার্তা। তা হলো শাবানের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত। এই রাতটিকে ‘শবে বরাত’ বলা হয়।
শবে বরাত এটি ফার্সি শব্দ থেকে এসেছে। শব অর্থ রাত আর বরাত অর্থ মুক্তি। শবে বরাত অর্থ মুক্তির রাত। শবে বরাতের আরবি হলো ‘লাইলাতুল বারায়াত’। হাদিসে এই রাতটিকে নিসফ শাবান বলা হয়।
লাইলাতুল বারায়াতের তাৎপর্য
এই রাতে আল্লাহ তায়ালা মুক্তি ও মাগফিরাতের দরজা খুলে দেন। রাসুল (সা.) বলেছেন, আল্লাহ তায়ালা অর্ধশাবানের রাতে মাখলুকাতের দিকে রহমতের দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ছাড়া সবাইকে ক্ষমা করে দেন। ( ইবনে মাজাহ: ১৩৯০)
অন্য হাদিসে এসেছে, রসুল (সা.) বলেন, এমন পাঁচটি রাত রয়েছে, যে রাতের দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয়না। তা হলো-
আরও পড়ুন
যে কারণে শবেবরাতের গুরুত্ব, যা যা বর্জনীয়
১. জুমার রাত,
২. রজব মাসের প্রথম রাত,
৩. শবে বরাতের রাত,
৪. ঈদুল ফিতরের রাত,
৫. ঈদুল আজহার রাত। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক: ৭৯২৭)
শবেবরাতের আমল
এ রাতের আমল সম্পর্কে একাধিক হাদিস পাওয়া যায়। কিন্তু হাদিসগুলো জাল বা মওজুর দ্বারা দলিল সাব্যস্ত করা যায় না। যেহেতু রাতটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ তাই নিজের গুনাহ মাফের জন্য ইবাদত বন্দেগীতে কাটানো উত্তম। যেমন :
১. নফল নামাজ পড়া
২. বেশি বেশি দরুদ পড়া
৩. দান-সদকা করা
৪. নফল রোজা রাখা ইত্যাদি।