বঙ্গনিউজবিডি, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : তিন লাখ টাকা হলে বাঁচতে পারে খাদিজা আক্তার খুশীর জীবন। অনেকের কাছে তিন লাখ টাকা সামান্যই। কিন্তু খুশীর পিতা খলিল মিয়ার কাছে তিন লাখ টাকা মানে অনেক বড় এবং কঠিন একটা বিষয়। তিনি ভূমিহীন কৃষি দিনমজুর। দিনমজুরি করে যা পান, তা দিয়েই সংসার প্রতিপালন করেন। তিনি তিন লাখ টাকা দিয়ে আদরের কন্যার চিকিৎসা করার কথা ভাবতেই পরেন না।
হতভাগ্য অসহায় খলিল মিয়ার বাড়ি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের দক্ষিণ সাহাবাজ গ্রামে। মাত্র ৯ মাস বয়সে খাদিজা আক্তার খুশীর হার্টে ফুটা ধরা পড়ে। সেই সময় চিকিৎসক বলেছিলেন অপারেশন করালে খুশী সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যাবে। কিন্তু’ দরিদ্র দিনমজুর পিতা খলিল মিয়া টাকার অভাবে মেয়ের অপারেশন করাতে পারননি। অসুস্থতা নিয়েই খুশী ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে। তার বয়স এখন ২০ বছর। বর্তমানে অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় সে আর হাঁটাচলাও করতে পারে না। অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে পিতামাতা সীমাহীন কষ্টে রয়েছেন।
ঢাকার হার্ট ফাউন্ডেশনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেছেন, খাদিজা আক্তার খুশীর হার্টের অপারেশন করাতে তিন লাখ টাকা খরচ হবে। এই টাকা জোগাড়ের জন্য তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সহৃদয় বিত্তবান, দয়ালু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন। তাকে সাহায্য পাঠানোর জন্য বিকাশ নং-০১৯৫০৯১৫৯৭৩। এই নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে।