বঙ্গনিউজবিডি রিপোর্ট : আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের বাজারে যাত্রা শুরু করেছে স্মার্টফোন প্রযুক্তিতে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ওয়ানপ্লাস। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৪ মে) ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জনপ্রিয় এই ব্র্যান্ড প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে তৈরি করা স্মার্টফোন নর্ড এন৩০ এসই ফাইভজি’র উন্মোচন অনুষ্ঠানে যোগ করে বিশেষ মাত্রা!
আনুষ্ঠানিক এই যাত্রার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সকল ব্যবহারকারীর জন্য ব্যতিক্রমধর্মী বিক্রয়-পরবর্তী সেবা, বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য সাপোর্ট সিস্টেম নিশ্চিত করবে ওয়ানপ্লাস।
পাশাপাশি, ওয়ারেন্টি স্ট্যাটাস বিবেচনায় না নিয়ে ওয়ানপ্লাসের গ্লোবাল ভার্সনের স্মার্টফোনে ভার্টিকাল লাইনের সমস্যার ক্ষেত্রে বিনামূল্যে রিপেয়ার সেবা দিবে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রথম পর্যায়ে সারাদেশের ৩৫টি স্থানে (২২টি সার্ভিস সেন্টার ও ১৩টি সার্ভিস পয়েন্ট) বিক্রয়-পরবর্তী সেবা পাওয়া যাবে। একইসাথে, গ্লোবাল ভার্সনের পণ্যের ক্ষেত্রে ৭ দিনের স্মার্টফোন রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারেন্টি ও ১২ মাসের স্মার্টফোন সার্ভিস দিবে ওয়ানপ্লাস বাংলাদেশ।
এ বিষয়ে ওয়ানপ্লাস বাংলাদেশের আফটার-সেলস সার্ভিস ডিরেক্টর মো. রুবায়েত ফেরদৌস চৌধুরী বলেন, আমরা নির্ভরযোগ্য বিক্রয়-পরবর্তী সেবার গুরুত্ব বুঝি। তাই, দেশের সকল ওয়ানপ্লাস ব্যবহারকারীর জন্য ইতিবাচক অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে আমরা আমাদের গ্লোবাল ভার্সন স্মার্টফোনের ডিসল্পের ভার্টিকাল লাইনের সমস্যায় ফ্রি রিপেয়ার সার্ভিস দিবো।
স্থানীয় উৎপাদনের শুরুতেই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে তৈরি স্মার্টফোন ‘বিগার, লাউডার, ফাস্টার’ ওয়ানপ্লাস নর্ড এন৩০ এসই ফাইভজি বাজারে নিয়ে আসা হয়েছে। নতুন এই ডিভাইসে মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৬০২০ ফাইভজি প্ল্যাটফর্ম ও ৩৩ ওয়াট সুপারভুক ফ্ল্যাশ চার্জিংয়ে সক্ষম এমন শক্তিশালী ৫,০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে।
স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত প্রথম মডেল নর্ড এন৩০ এসই ফাইভজি’র মধ্য দিয়ে ক্রমান্বয়ে বাংলাদেশে তৈরি ফাইভজি স্মার্টফোনের বিস্তৃত সমাহার নিয়ে আসবে ওয়ানপ্লাস।
ওয়ানপ্লাস বাংলাদেশ’র সিইও মেঙ্ক ওয়াং বলেন, সারাবিশ্বের মানুষের জন্য সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ তৈরি করাই আমাদের লক্ষ্য; বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করার মধ্য দিয়ে আমরা এ লক্ষ্য পূরণের দিকে আরো একধাপ এগিয়ে গেলাম। স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের মাধ্যমে আমরা একটি প্রোডাক্ট ইকোসিস্টেম তৈরি করবো, যা ক্রেতাদের জন্য আকর্ষণীয় মূল্যে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও আরো সহজলভ্য করতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।