বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: ভারতের লোকসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে বিজেপি। সরকার গঠনে জোট শরিক দলগুলোর ওপর নির্ভর করতে হবে নরেন্দ্র মোদিকে। বিশেষ করে তেলেগু দেশম পার্টির প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু ও বিহারের জনতা দল-ইউনাইটেডের (জেডি-ইউ) কর্নধার নীতিশ কুমারের ওপর নির্ভর করছে অনেক সমীকরণ। বর্তমান পরিস্থিতিতে দল দুটি হয়ে উঠছে ভারতের রাজনীতির কিংমেকার।
এরই মধ্যে গুঞ্জন উঠেছে নীতিশ-নাইডুকে দলে ভেড়াতে যোগাযোগ শুরু করেছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট। এই দুই নেতাকে ভাগিয়ে নিয়ে সরকার গঠনের কুটকৌশল করছে বিরোধীশিবির।
সেই প্রচারের মধ্যেই কংগ্রেস জোটভুক্ত রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) নেতা তেজস্বী যাদবের সঙ্গে একই বিমানে দিল্লির পথে উড়াল দিলেন নীতিশ কুমার। তাতে গুঞ্জনের ডালপালা আরও বিস্তৃত হচ্ছে। ইন্ডিয়া জোটের সাবেক শরীক নীতিশ কুমার ও চন্দ্রবাবু নাইডুকে ফেরাতে পারলে দিল্লির মসনদে হতে পারে রদবদল।
ভারতের নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফল অনুযায়ী, লোকসভার মোট ৫৪৩ আসনের মধ্যে বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স-এনডিএ জোট পেয়েছে ২৯৪ টি আসন। অপর দিকে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোটের মোট আসনসংখ্যা হয়েছে ২৩২টি।
উল্লেখ্য, সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ২৭২ টি আসন। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে বিরোধী জোটের আরও ৩৮টি আসন দরকার। এখানেই ক্ষমতার দরজার চাবিকাঠি ধরে রেখেছেন টিডিপি-র চন্দ্রবাবু নাইডু এবং জেডিইউ-এর নীতিশ কুমার।
চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি) জিতেছে ১৬টি আসনে। আর নীতিশ কুমারের জনতা দল (জেডি-ইউ) জিতেছে ১২টি। দুটি দলই কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোটের সাবেক অংশীদার। পরে জোটবদল করে তারা বিজেপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
নরেন্দ্র মোদির বিজেপির বিশ্বাস ছিল তারা গতবারের মতোই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। কিন্তু নির্বাচনের ফলাফলে অনেকটা চমকই দেখা গেছে। এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে বিজেপির সরকার গঠন নির্ভর করছে জোট শরিকদের ওপর। বর্তমান পরিস্থিতিতে নীতিশ-নাইডুকে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ছেড়ে আবারও বিরোধীশিবিরে ফেরার আহ্বান জানাচ্ছেন অনেকে।
নীতিশ-নাইডুকে ফেরাতে পারলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের খুব কাছাকাছি পেীছবে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট। সেক্ষেত্রে তাদেরকে আরও কিছু স্বতন্ত্র বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থন প্রয়োজন হবে।
নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরদিনই, দুই জোটের নেতারা দিল্লির পথে উড়াল দিচ্ছেন আলোচনার জন্য। এখানেই ঘুরে যেতে পারে খেলা। দিল্লির পথে একই বিমানে চড়লেন নীতীশ কুমার এবং ইন্ডিয়া জোটের শরীক দল আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। তাদের মধ্যে কী আলোচনা হতে যাচ্ছে? দরকষাকষি এবং দেনাপাওনার খেলায় কে কাকে কাছে টানতে পারবে সেটা হয়ত আগামী ২৪ ঘন্টায় স্পষ্ট হবে। সূত্র: এনডিটিভি