বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : ৩ দিনের লকডাউন শেষে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে কঠোর বিধি-নিষেধ। লকডাউন পালনে প্রশাসনের পাশাপাশি প্রস্তুতি নিচ্ছেন রংপুরের মানুষ। করোনা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি হওয়ায় অনেকেই এই লকডাউনকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে নিম্ন আয়ের মানুষ রয়েছেন চিন্তিত। ৭ দিনের কঠোর বিধি নিষেধে কর্মহীন এসব মানুষের সংসার চলবে কি করে তা নিয়ে চিন্তিত তারা। তবে জেলা প্রশাসন বলছেন নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তা দেয়ার প্রস্তুতি রয়েছে। এদিকে, কঠোর বিধি-নিষেধ মানাতে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
ব্যবসায়ীদের নেতা ও সাধারণ মানুষের সাথে কথা হলে তারা জানান, লকডাউনের সিদ্ধান্তটি সরকারের সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। মানুষ লকডাউন পুরোপুরি মানলে করোনা সংক্রমণের হার কমে যাবে বলে তাদের ধারণা। তবে নিম্ন আয়ের মানুষজন চিন্তিত হয়ে পড়েছে কর্মহীন হওয়ার আশঙ্কায়।
রংপুর নগরীর জিএলরায় রোডের পান দোকানি আব্দুল মালেক, চা দোকানি মোন্নাফ মিয়া, সবুজ মিয়াসহ কয়েকজন জানান, লকডাউন দীর্ঘায়িত হলে তারা খাদ্য সংকটে পড়বেন। সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি রেজাউল ইসলাম মিলন বলেলন, করোনা সংক্রমণ যে হারে বেড়েছে তাতে লকডাউনের বিকল্প কিছু নেই। সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবমুখি। তিনি বলেন আমি ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে লকডাউন যাতে ব্যবসায়ীরা যথযথভাবে মেনে চলে এই আহ্বান জানাবো।
এদিকে রংপুরে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন। গত ৩ দিনে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট এ ডাব্লিউ রায়হান শাহ বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে কঠোর বিধি-নিষেধ বাস্তবায়নে মাঠে থাকবে সেনা সদস্য, বিজিবিসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। কঠোর বিধি-নিষেধের সময় হত দরিদ্ররা যাতে খাদ্য সংকটে না পরে এ বিষয়েও ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।