বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: বল হাতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে অল্পেই বেঁধে ফেলার পর জয়ের স্বপ্ন দেখেছিল বাংলাদেশ। তবে আরো একবার তীরে এসে তরী ডুবিয়েছে টাইগাররা। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টানটান উত্তেজনার ম্যাচটি হেরেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ছয় উইকেটে ১১৩ রান সংগ্রহ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেটে ১০৯ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ। প্রোটিয়াদের জয় ৪ রানে।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ১১ রান। কেশভ মহারাজের করা প্রথম বল হয় ওয়াইড। পরের বলে আসে ১ রান। দ্বিতীয় বলে ২ রান নেন জাকের। তৃতীয় বলে আউট হন তিনি।
তিন বলে ৭ রান প্রয়োজন, এ অবস্থায় লেগ বাই থেকে আসে ১ রান। পঞ্চম বলে রিয়াদ আউট হলে লক্ষ্য দাঁড়ায় এক বলে ৬ রান। সেই বলে ১ রানের বেশি নিতে পারেননি তাসকিন আহমেদ। ফলে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় টাইগারদের।
দলের হয়ে রান তাড়া করতে নামেন তানজিদ হাসান তামিম ও নাজমুল হোসেন শান্ত। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে রাবাদাকে দুই বলে টানা দুটি চার হাঁকান তামিম। তবে তার করা ওভারের শেষ বলে উইকেটের পিছে ধরা পড়েন এ ওপেনার।
শুরুতেই উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন শান্ত ও লিটন দাস। পাওয়ার প্লে-র বাকি অংশ নির্বিঘ্নে কাটান দুজন। তবে পাওয়ার প্লে শেষ হতেই ঘটে ছন্দপতন। কেশব মহারাজের প্রথম বলেই ৯ রানে আউট হন লিটন। সাকিবও আজ ৩ রানের বেশি করতে পারেননি।
শান্ত প্রতিরোধের আশা দেখালেও হতাশ করে ফিরেছেন। ২৩ বল খেলে মাত্র ১৪ রান করেন তিনি। ৫০ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন তাওহীদ হৃদয় ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুজনের গড়েন ৪৪ রানের জুটি। যা হৃদয় ৩৭ রানে ফিরলে ভাঙে।
শেষ পর্যন্ত আর প্রয়োজনীয় রান করতে পারেননি কেউ। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে কেশভ মহারাজ তিনটি এবং কাগিসো রাবাদা ও আনরিখ নরকিয়া দুটি করে উইকেট শিকার করেন।
এর আগে আজ টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। তানজিম হাসান সাকিবের করা প্রথম ৫ বল থেকে ১১ রান নেন কুইন্টন ডি কক। তবে মুখোমুখি প্রথম বলেই এলবিডব্লিউ হন আরেক ওপেনার রেজা হেনড্রিকস।
নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসে আরেক ওপেনার ডি কককে ফেরান সাকিব। এই উইকেটকিপার ব্যাটার করেন ১৮ রান। সাকিবের তৃতীয় শিকারে পরিণত হওয়া ট্রিস্টান স্টাবস ডাক মারেন। এর আগে তাসকিনের বলে ৪ রানে বোল্ড হন মার্করাম।
মাত্র ২৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে সেখান থেকে দলের হাল ধরেন ডেভিড মিলার ও হেনরিখ ক্লাসেন। দুজনে গড়েন ৭৯ রানের জুটি। তাদের ব্যাটে ম্যাচে ফিরে আসে প্রোটিয়ারা।
নিজের শেষ ওভারে আক্রমণে এসে বিপদজনক ক্লাসেনকে বোল্ড করেন তাসকিন। এ প্রোটিয়া ব্যাটার দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন। মিলার করেন ২৯ রান। বাংলাদেশের হয়ে তানজিম তিনটি, তাসকিন দুটি ও রিশাদ একটি উইকেট নেন।