1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪১ অপরাহ্ন

সুপার এইট এখন অনেকটাই কাছে

রিপোর্টার
  • আপডেট : শুক্রবার, ১৪ জুন, ২০২৪
  • ৭৫ বার দেখা হয়েছে

বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: নিজেদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো মূল পর্বে দু’টি জয় তুলে নিলো টাইগাররা। গতকাল নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে আসরের সুপার এইট পর্বের আরও কাছে পৌঁছলো বাংলাদেশ। গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে নেপালকে হারালেই শেষ আট নিশ্চিত হয়ে যাবে বাংলাদেশের। সেন্ট ভিনসেন্টে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে বাংলাদেশ ২৫ রানে জয় পায়। ৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে এখন নাজমুল হোসেন শান্তর দলের অবস্থান তালিকার দ্বিতীয় স্থানে। বিদেশে নিজেদের প্রথম টেস্ট জয়ের ভেন্যুতে টাইগাররা পেলো আরেকটি স্মরণীয় জয়। এই মাঠ থেকেই সাকিব আল হাসান টাইগারদের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিলেন। এরপর কত না চড়াই উৎড়াই পেরিয়ে হয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। গতকাল তার হাত ধরেই দল জয় পায়। ব্যাট করতে নেমে দুই বছর পর টি-টোয়েন্টিতে পেয়েছেন ফিফটি।

তার ব্যাটে চড়ে ডাচদের ১৬০ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় টাইগাররা। ম্যাচ শেষে তাই সাকিব জানিয়েছেন ব্যাটিং নিয়ে তাদের স্বস্তির কথা। সেই সঙ্গে ১৬ই জুন (বাংলাদেশ সময় ১৭ই জুন সকাল) ঈদ উল আযহার দিন নেপালকে হারিয়ে শেষ আট নিশ্চিত করে দেশবাসীকে দিতে চান ঈদ আনন্দ। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই নেপালের সঙ্গে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। জিততে পারলে আমরা দ্বিতীয় রাউন্ডে যাবো। সামনের দিকে এগিয়ে যেতে আমরা মুখিয়ে আছি। ঈদের দিন আমরা মুসলিম যারা আছি আমাদের জন্য ভীষণ আনন্দের। বিশেষ করে বাংলাদেশের যে কোনো ধর্মের সবাই সেলিব্রেট করে। আশা করবো এমন একটি দিনে আমরা তাদের মুখে হাসি ফোটাতে পারবো।’

দ্রুত ৩ উইকেট হারানো নেদারল্যান্ডস তাকিয়ে ছিল লোগান ফন বেইকের দিকে। কিন্তু দলকে হতাশ করেন তিনি। রিশাদ হোসেনকে মারতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দেন তিনি। ৩ বলে ২ রান করেন ফন বেইক। এর আগে দলকে ম্যাচে ফেরান টাইগারদের হয়ে প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে আসা এই লেগ স্পিনার। প্রথম ওভারে খরুচে ছিলেন তিনি। তৃতীয় ওভারের প্রথম ৩ বলে দিয়েছিলেন ৭ রান। তবে পরের তিন বলের মধ্যে সিব্রান্ড এঙ্গেলব্রেখট ও বাস ডি লিডাকে সাজঘরে ফেরান তিনি। তাতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় বাংলাদেশ। ছক্কার চেষ্টায় সীমানায় তানজিম হাসানের হাতে ক্যাচ দেন এঙ্গেলব্রেখট। ভাঙে ৩১ বলে গড়া ৪২ রানের জুটি। এক বল পর স্টাম্পড হয়ে যান ডি লিডা। একটুর জন্য ভারসাম্য হারিয়েছিলেন ব্যাটসম্যান। পা চলে গিয়েছিল বাইরে। সেই সুযোগটাই দারুণ তৎপরতায় কাজে লাগান উইকেটরক্ষক লিটন দাস। ১৫ ওভারে নেদারল্যান্ডসের রান দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১১১-তে। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা। ডাচ্ দূর্গ ভেঙে টাইগাররা তুলে নেয় দারুণ জয়।

বাংলাদেশের ভয় একটাই নড়বড়ে ব্যাটিং। যে কারণে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষেও ছিল ভয় আর শঙ্কা। তার ওপর সেন্ট ভিনসেন্টে টসে হেরে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ। বলা হচ্ছিল এখানে টসই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিবে। ব্যাট করতে নেমে টাইগারদের শুরুটা ভীষণ নড়বড়ে। একাদশে কোনো পরিবর্তন নেই। ওপেনিংয়ে নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গী তরুণ তানজিদ তামিম। কিন্তু ব্যাটিং পজিশন বদলেও অধিনায়ক নিজের ভাগ্য বদলাতে পারলেন না। অফ স্পিনার আরিয়ান দত্তর বলে রিভার্স সুইপ করে স্লিপে ক্যাচ দেন ৩ বলে ১ রান করা টাইগার অধিনায়ক। তার বিদায়ের পর তৃতীয় ওভারে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৮ রান তুলেন আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান। তাকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন লিটন দাস। কিন্তু বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে স্লগ সুইপ করে স্কয়ার লেগে সিব্রান্ড এঙ্গেলব্রেখটের দারুণ ক্যাচে বিদায় নেন তিনি। তার ব্যাট থেকে আসে ২ বলে ১ রান। দলীয় ২৩ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।

বিপর্যয়ে দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে পাঠানো হয় চারে। ষষ্ঠ ওভারে ৪টি চারে ১৯ রান নেন তিনি। এতে পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেটে ৫৪ রান তোলে বাংলাদেশ। সাকিবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রানের চাকা দ্রুত ঘুড়িয়েছেন তানজিদও। সপ্তম ওভারে তানজিদের ২টি চারে ১২ রান পায় বাংলাদেশ। কিন্তু নবম ওভারে পেসার পল ফন মেইকারেনের শর্ট বলে মিড উইকেটে বাস ডি লিডাকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৬ বলে ৩৫ রান করা তানজিদ। তৃতীয় উইকেটে সাকিব-তানজিদ ৩২ বলে ৪৮ রান যোগ করেন। দলীয় ৭১ রানে তানজিদের বিদায়ে উইকেটে আসেন ইনফর্ম তাওহিদ হৃদয়। সাবধানে খেলে উইকেটে সেট হবার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু স্পিনার টিম প্রিঙ্গলের বলে কাট করতে গিয়ে বোল্ড আউট হন তিনি। তার ব্যাট থেকে আসে ১৫ বলে ৯ রান। তার বিদায়ে ক্রিজে এসে দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ২টি করে চার-ছক্কায় নেদারল্যান্ডসের বোলারদের ওপর চড়াও হন তিনি। ১৭তম ওভারে ১৬ রান পায় টাইগাররা। অন্যদিকে ১৩তম ওভারে ৩৮ বলে ফিফটি তুলে নেন সাকিব। ২০২২ সালের অক্টোবরে ক্রাইস্টচার্চে ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ ফিফটির দেখা পেয়েছিলেন তিনি। তার ফিফটির পর মেইকারেনের শর্ট বলে পুল করে ডিপ মিড উইকেটে এঙ্গেলব্রেখটের হাতে ধরা পড়েন ২১ বলে ২৫ রান করা মাহমুদউল্লাহ। দু’জন ৩২ বলে ৪১ রান যোগ করেন। মাহমুদউল্লাহ ফেরার পর ইনিংসের শেষ ১৫ বলে অবিচ্ছিন্ন ২৯ রান যোগ করে বাংলাদেশকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দেন সাকিব ও জাকের আলী অনিক। ৯টি চারে ৪৬ বলে অপরাজিত ৬৪ রান করেন সাকিব। ৩টি বাউন্ডারিতে ৭ বলে অনবদ্য ১৪ রান করেন জাকের। নেদারল্যান্ডসের আরিয়ান ও মেইকারেন ২টি করে উইকেট নেন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com