ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি।। বিএনপির চেয়ার পার্সনের উপদেষ্টা সাবেক সংসদ সদস্য এড. সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, বিএনপি মুক্তিযোদ্ধাদের দল আর আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক দল। মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রথম যে মুক্তিযোদ্ধাদের সেক্টর গঠন করা হয়, তার নাম বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের গঠন করা জেড ফোর্স। রণাঙ্গনে ৪টি সেক্টরের অধীনে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে, তার প্রথম সেক্টরটি গঠন করেছেন জিয়াউর রহমান, অন্য সেক্টরগুলো গঠিত হয়েছে তার আড়াই মাস পরে।
তিনি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে জেলা শহরের পাবলিক ক্লাব মাঠে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করে তিনি বলেন, জিয়া চ্যারিটি ফান্ডে দেশের গরীব ও এতিমদের জন্য যে অনুদান কুয়েত সরকার দিয়েছিলেন তা রাষ্ট্রের নয় সেটা ছিল জিয়া পরিবারের দায়িত্বে। খালেদা জিয়া সেই ২ কোটি টাকা দান করেছিলেন এতিমদের ফান্ডে, সেটা আজ সূদে আসলে ব্যাংকে বেড়ে হয়েছে ৮ কোটি টাকা। অথচ সেরকম একটা ইস্যুতে তাঁর বিরুদ্ধে সাজানো বানোয়াট মামলা করে তাঁকে নিম্ন আদালতে ৫ এবং উচ্চ আদালতে নজীরবিহীনভাবে ১০ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। যে বিচারকেরা এই অন্যায় রায় দিয়েছিলেন তাঁদেরকে প্রমোশন দিয়ে পুরষ্কৃত করেছে এই সরকার।
এড আলাল আরো বলেন, বর্তমান সরকারের মন্ত্রীদের প্রসঙ্গ আসলেই আমার মতিউরের ছাগলের কথা মনে হয়। মতিউরের ছাগল যা পেরেছে তা দুদক পারেনি, পুলিশ পারেনি। দুদক ৩ বার মতিউরকে তলব করেও কোনো দূর্নীতির খোঁজ পাননি। অথচ একটা ছাগল সব অসাধ্য সাধন করে দিল।
জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমীনের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপি সহ- সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা নুর করিম, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাহিদ হোসেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক পয়গাম আলী, হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের আহবায়ক মনোরঞ্জন শীল, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড জয়নাল আবেদিন জয়,সাধারণ সম্পাদক এড এন্তাজুল ইসলাম জাতীয়তাবাদী যুবদল জেলা সভাপতি চৌধুরী মহিবুল্লাহ আবু নুর, ছাত্রদলের জেলা সভাপতি মোঃ কায়েস
বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের প্রায় ৫০ হাজার নেতা-কর্মী এই সমাবেশে যোগ দেন।