বঙ্খনিউজবিডি ডেস্ক: ভোক্তাদের স্বার্থে আগামী ২ বছর লাভ ছাড়া সয়াবিন তেল বিক্রি করতে প্রস্তুত রয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ। এ জন্য ডলারের মূল্য নির্ধারণ, কাঁচামাল আমদানি ও এলসি খুলতে সরকারের সহায়তা প্রয়োজন বলে জানায় শিল্প প্রতিষ্ঠানটি।
বুধবার (২১ আগস্ট) রাজধানীর রমনায় অবস্থিত প্রতিযোগিতা কমিশনের কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন বসুন্ধরা গ্রুপের ফুড বিভাগের বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের প্রধান মো. রেদোয়ানুর রহমান।
ভোজ্যতেল, চিনিসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংক, শিল্প, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ বেসরকারি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এ মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মো. রেদোয়ানুর রহমান বলেন, জিরো প্রফিটে ব্যবসার প্রয়োজনে বসুন্ধরা গ্রুপ প্রস্তুত আছে। জিরো প্রফিটে আরও ২ বছর ব্যবসা করতে কোনো সমস্যা নেই।
এক্ষেত্রে সাপ্লাই চেইন ঠিক করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ক্রুড ওয়েল ব্রাজিল থেকে আনতে ৪৫ থেকে ৫৫ দিন লাগে। তেলবীজ এনে সেটা বাজারজাত করতে ৬০ দিনের ওপরে সময় লাগে। এ সময় কমিয়ে আনতে হবে। সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে আমরা ডলার কিনতে পারি না। ডলারের দাম বাংলাদেশ ব্যাংকের দাম অনুসারে পাওয়া যায় না। সব ব্যাংকেই ডলারের দাম বেশি রাখে। এই খরচটা গ্যাপ থেকে যায়। এই জায়গা ঠিক করতে হবে।
বসুন্ধরা গ্রুপের এ কর্মকর্তা বলেন, এখন এডিবল অয়েলে ৩০টি কম্পানি আছে। যে এডিবল অয়েল বিক্রি করা হয় তা সফটওয়্যারে উল্লেখ থাকে। ভ্যাট চালান ছাড়া কোনো পণ্য বের হবেই না।
তিনি বলেন, এখানে আমি কিছু প্রস্তাব দিতে পারি। আজ থেকে দুই বছর আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বলেছিলাম, যত দিন ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ চলবে আমরা কোনো লাভ ছাড়া পণ্য (সয়াবিন তেল) বিক্রি করত পারি। এতে এক টাকাও প্রফিট করব না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কারখানা চার মাস বন্ধ ছিল। আমরা তখন সরকারকে বলেছিলাম আপনারা আমাদের ক্রুড ওয়েল দেন। যেহেতু ডলার সংকটের কারণে আমদানি করতে পারছি না। কারণ আমাদের কারখানায় ৫-৭ হাজার লোক কাজ করে তারা বেকার হয়ে যাবে।