পাহাড়ি ঢল, অতিবৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পানিতে কুমিল্লার দাউদকান্দি, তিতাস উপজেলার নদী তীরবর্তী ৪টি ইউনিয়নের ১৫/২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে লক্ষাধিক মানুষ।
এবং তিতাস চারটি সংগঠন মিলে বন্যাত্ব মানুষের পাশে দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে, এইসব সংগঠন গুলো হলো তিতাস মুক্ত স্কাউট, আলোর বাহন,আপনজন, এসফা এই সংগঠন গুলোর সেচ্ছাসেবীরা তারা সকল মানুষ কে আসয়কেন্দে নিয়ে যাচ্ছেন।
এবং পানির স্রোতে ইতোমধ্যে একটি অস্থায়ী সেতু ভেঙে উপজেলার নারান্দিয়া ও ভিটিকান্দি ইউনিয়নসহ প্রায় ১৫ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এছাড়াও তলিয়ে গেছে প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ রাস্তা-ঘাট ও মাছের ঘেরসহ ফসলি জমি।
বৃহস্পতিবার (২২ আগষ্ট) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় এবং স্থানীয় ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন সূত্র জানায়, গত দুইদিন ধরে টানা ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে তীব্র বেগে নেমে আসা ঢলে হু হু করে গোমতী নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। একপর্যায়ে বুধবার (২১ আগষ্ট) রাত থেকে তিতাস উপজেলার বেড়িবাঁধের ভিতর ও নদী তীবর্তী এলাকা কলাকান্দি ইউনিয়নের আফজালকান্দি, উত্তর মানিকনগর, খানেবাড়ী, দক্ষিণ মানিকনগর, ভিটিকান্দি ইউনিয়নের দাসকান্দি, ঘোষকান্দি, হরিপুর, দুলারামপুর, দড়িকান্দি, নারান্দিয়া ইউনিয়নের নারান্দিয়া পশ্চিম পাড়া এবং জিয়ারকান্দি ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে পানি ডুকে পড়েছে। নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে হুমকির মুখে রয়েছে উপজেলা রক্ষার জন্য নির্মিত বেড়িবাঁধ।
আফজলকান্দি গ্রামের বাসিন্দা হাতেম মাস্টার বলেন, ‘আমাদের পুরো গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সবায় বাড়ি ছেড়ে গরু-ছাগল নিয়ে বেড়িবাঁধে চলে এসেছে। বন্যা আগেও দেখেছি, তবে এমন বন্যা কখনো দেখিনি।’
তিতাস উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সুমাইয়া মমিন বলেন, ‘এ উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের প্রায় ১৫/২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। উপজেলা আশ্রয়কেন্দ্রগুলো চালু করা হয়েছে। এবং চার ইউনিয়নে ৪টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে পানিবন্দি মানুষের জন্য।
তিতাস উপজেলায় বন্যার্ত মানুষের পাশে চার্জার হাত বাড়িয়ে দাঁড়িয়েছেন তিতাস উপজেলার চারটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সংগঠনগুলো হলো (এসফা), আলোর বাহন, আপনজন, তিতাস মুক্ত স্কাউট এইখানে উপস্থিত ছিলেন আপনজ,আলোর বাহন ও এসফা এই তিনটি সংগঠন প্রতিষ্ঠিতা নাজিরুল ইসলাম মামুন, এসফার সভাপতি ইন্জিনিয়ার মাসুদ রানা, আলোর বাহন এর সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সুপ্ত, আপনজনের সাধারণ সম্পাদক কাজী নাহিদ, তিতাস মুক্ত স্কাউটের ইউনিট লিডার সঞ্জয় চন্দ্র দাস সহ সকলে সংগঠনের সেচ্ছাসেবী ভাইয়েরা।
সবার উচিৎ এলাকার জন গন পাশাপাশি চেয়ারম্যান ও মেম্বার ও ধনিগনদের এগিয়ে আসা উচিৎ।