রিপোর্টার সালমা আক্তার কুমিল্লা : একই, বাহামভুক্ত, অর্থলোভী, অত্যাচারী, জুলুমকারী, ঠক, প্রতারক, মিথ্যা মামলাবাজ, আইন অমান্যকারী অত্যন্ত কলহপ্রিয়, চাঁদাবাজ, জালিয়াত, লাঠিয়াল, সন্ত্রাসী, কুচক্রী, মৃত্যুজনিত হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনকারী প্রতিষ্ঠান মওলানা ভাসানী উচ্চ বিদ্যালয় সোলাকুঁড়া, কালিহাতী, টাঙ্গাইল।
টাঙ্গাইলের মওলানা ভাসানী উচ্চ বিদ্যালয়ের নামে নানান দূর্নীতি, অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অত্র বিদ্যালয়ের
কালিহাতী উপজেলার মাওলানা ভাসানী উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ।
একই, বাহামভুক্ত, অর্থলোভী, অত্যাচারী, জুলুমকারী, ঠক, প্রতারক, মিথ্যা মামলাবাজ, আইন অমান্যকারী অত্যন্ত কলহপ্রিয়, চাঁদাবাজ, জালিয়াত, লাঠিয়াল, সন্ত্রাসী, কুচক্রী, মৃত্যুজনিত হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনকারী প্রতিষ্ঠান মওলানা ভাসানী উচ্চ বিদ্যালয় সোলাকুঁড়া, কালিহাতী, টাঙ্গাইল।
টাঙ্গাইলের মওলানা ভাসানী উচ্চ বিদ্যালয়ের নামে নানান দূর্নীতি, অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অত্র বিদ্যালয়ের
সহকারি শিক্ষিকা মিনা আক্তার বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট “খ” অঞ্চল আদালত, টাঙ্গাইল উক্ত বিষয়ে অভিযোগ দায়ের
করেন এবং মামলা নং- ১১৩২/২০২৪ ইং, আসামীগুলো হলো: ১। মোঃ ছরোয়ার আলম (সাবেক সভাপতি) ২।
আব্দুল বাছেদ সিদ্দিকী (সাবেক প্রধান শিক্ষক) ৩। মোহাম্মদ আফজাল হোসেন মোল্লাহ (সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান
শিক্ষক) ৪। মোহাম্মদ হযরত আলী (প্রধান শিক্ষক) ৫। শামীমা নাসরিন (সাবেক সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষক প্রতিনিধি)
৬। মোহাম্মদ ফজলুল হক (সাবেক শিক্ষক প্রতিনিধি) ৭। মোঃ রফিকুল ইসলাম (সাবেক শিক্ষ প্রতিনিধি) ৮। মোঃ আঃ
মজিদ (সাবেক অভিভাবক সদস্য) ৯। মোঃ আঃ মালেক (সাবেক অভিভাবক সদস্য) ১০। মোঃ আব্দুল হালিম (সাবেক
অভিভাবক সদস্য) ১১। মোঃ জামাল বাদশা (সাবেক অভিভাবক সদস্য) ১২। শান্তা (সাবেক সংরক্ষিত মহিলা
অভিভাবক সদস্য) ১৩। মোঃ হাসমত আলী (প্রতিষ্ঠাতা সদস্য) ১৪। মোঃ আবু সাইদ মিয়া (দাতা সদস্য) ১৫। মোঃ
আঃ লতিফ (কো-অপ্ট সদস্য) ১৯। জামাল বাদশা সহকারি শিক্ষক (কৃষি) ১৮। মোঃ ইনছান আলী (অবৈধ) (সহকারি
প্রধান শিক্ষক) উনারা সকলেই মওলানা ভাসানী উচ্চ বিদ্যালয়, সোলাকুঁড়া, কালিহাতী, টাঙ্গাইল। ১৮। মোঃ ইনছান
আলী সহকারি শিক্ষক (ব্যবসায় শিক্ষা) সল্লা সমবায় উচ্চ বিদ্যালয়, কালিহাতী, টাঙ্গাইল। ১৭। মোঃ মিজানুর রহমান
তালুকদার (পরিদর্শন প্রত্যয়ন কমিটির সদস্য) প্রধান শিক্ষক কালিহাতী আর এস সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়,
কালিহাতী, টাঙ্গাইল। ১৬। মোঃ ইয়াকুব আলী (পরিদর্শন প্রত্যয়ন কমিটির সদস্য) প্রধান শিক্ষক কোকডহরা উচ্চ
বিদ্যালয়, কালিহাতী, টাঙ্গাইল।
মিনা আক্তার ২০১৬ সালে সহকারি গ্রন্থাগারিক বর্তমানে সহকারি শিক্ষক (গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান) এবং মোহাম্মদ রেজাউল করিম সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে ২০১৫ সালে (শর্ত সাপেক্ষে) নিয়োগ নিয়ে অদ্যাবধি নিষ্ঠার সাথে উক্ত প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করিয়া আসিতেছেন।
নিয়োগকালীন সময়ে উক্ত পদগুলোতে এম. পি. ও ভুক্তি সম্ভব না হওয়ায় এবং বর্তমানে উক্ত পদে এম. পি. ও ভুক্তি সম্ভব হলে মামলার বাদীগণের কাছে ২০,০০,০০০/- (বিশ লক্ষ) টাকা ঘুষ হিসেবে আসামীগণ যোগসাজশে দাবী করেন। বাদীগণ টাকা দিতে অস্বীকার করলে আসামীদের যোগসাজশে অত্র প্রতিষ্ঠান থেকে বাদী দুইজনকেই তাড়ানোর জন্য পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র করে বাদী দুইজনের নামে কতকগুলো ভুয়া জাল জালিয়াত কাগজপত্র তৈরি করে যা বাদীগণ বুঝতে পারে নাই। কোন উপায় না পেয়ে উচ্চ আদালতে বাদীগণ মামলা করেন। মিনা আক্তার এর রীট পিটিশন মামলা নং- ১৪৬২০/২৩ এবং মোহাম্মদ রেজাউল করিম এর রীট পিটিশন মামলা নং- ১৫২৯৮/২০২৩ মহামান্য সুপ্রীম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগ, ঢাকা, বাংলাদেশ এ মামলা দায়ের করিলে বাদীগণের পক্ষে রায় আসে। রীট পিটিশন উক্ত মামলাদ্বয়ের রায়ের কাগজ স্বাক্ষীগণের উপস্থিতিতে বিদ্যালয় অফিস কক্ষে আনুমানিক ৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ইং সালে বিবাদীগণের সামনে উপস্থাপন করিলে বিবাদীগণের যোগসাজশে ২ নং আসামী ভরা মজলিসে মিনা আক্তারের চুলে ধরে বিদ্যালয়ের অফিস থেকে বের করে দেয় এবং হুশিয়ারী করে দেয় যে, আর কোনদিন এই বিদ্যালয়ে আসবি না। ভুলেও যদি কোনদিন এই বিদ্যালয়ে আসিস তবে তোর পরিবারের স্বামী সন্তানসহ সবাইকে মেরে লাশ গুম করে ফেলব এবং তোদের বাড়িঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিব।
এরপর ঐ সকল ভূয়া জাল জালিয়াত কাগজপত্র আসল কাগজপত্র হিসেবে ১৫২৯৮/২০২৩ নং রীট পিটিশন মামলায় আসামীদের যোগসাজশে উপস্থাপন করিয়া বাদীপক্ষের রায় বাতিল করিতে চায়। উক্ত মামলায় যে সকল ভূয়া ও জাল জালিয়াত কাগজগুলো উচ্চ আদালতে উপস্থাপন করিয়াছেন তা অপর পৃষ্ঠায় তুলে ধরা হলোঃ
চলমান পাতা ০২পরিশিষ্ট- 3 পৃষ্ঠা: 17
পাতা নং- ০২
বিদ্যালয়ের নাম
VENGULA GIRL’S HIGH SCHOOL, Gopalpur, Tangail.
পদের নাম
সহকারী শিক্ষক (গ্রন্থাগার এবং তথ্য বিজ্ঞান)
সংযোজন- 4 পৃষ্ঠা: 18
BHEGULA BIRLS HIGH SCHOOL, Gopalpur, Tangail.
বিদ্যালয়ের নাম
সহকারী শিক্ষক (গ্রন্থাগার এবং তথ্য বিজ্ঞান)
পদের নাম
সংযোজন- 12 পৃষ্ঠা: 55
বিদ্যালয়ের নাম
ভেঙ্গুলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, গোপালপুর, টাঙ্গাইল।
পদের নাম
সহকারি গ্রন্থাগারিক
উপরের তথ্যগুলোতে ভিন্নতা দেখা যায়। বাস্তবে টাঙ্গাইল জেলায় গোপালপুর উপজেলায় ভেঙ্গুলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় নামে এরূপ কোন প্রতিষ্ঠান নাই। এতে প্রমাণ হয় যে, ভূয়া, মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।
সংযোজন- 6, 7 এবং 12 পৃষ্ঠা: 25, 27 এবং 55
রীট পিটিশন মামলা নং- ১৫২৯৮/২০২৩ এর ঠিকানা এবং বাদী মোহাম্মদ রেজাউল করিম এর জাতীয় পরিচয় পত্রের ঠিকানার সাথে বিবাদীগণের উপস্থাপনকৃত ANNEXURE- 6, 7 and 12 Page: 25, 27 and 55 এর ঠিকানার কোন মিল নাই। বাদীকে ভূয়া ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য বিবাদীগণ যোগসাজশে ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল ঠিকানা ব্যবহার করেছেন। এতে প্রমাণ হয় যে, ভূয়া, মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।
পরিশিষ্ট-5 পৃষ্ঠা: 20, 21, 22 এবং 23
উক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীর হাজিরা খাতায় জানুয়ারী/২০১৬ সালের ১০ জন শিক্ষক ও ৩ জন কর্মচারীর নাম ও স্বাক্ষর দেখা যায় এবং জুন/২০১৬ সালের শুধু ২০ জন শিক্ষকের নাম ও স্বাক্ষর দেখা যায়। উক্ত প্রতিষ্ঠানের হাজিরা খাতা ইহাতে প্রমাণিত হয় ইহা ভূয়া, মিথ্যা ও বানোয়াট।
সংযোজন- 9, 10, 11 পৃষ্ঠা: 30, 31, 32, 33-49, 51, 52 এবং 53
সহকারি গ্রন্থাগারিক ও নাইট গার্ড পদে নিয়োগ বিজ্ঞাপন অত্র প্রতিষ্ঠানের ১০ মে, ২০১৬ সালের এবং মিনা আক্তারের সহকারি গ্রন্থাগারিক নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল দেখানো হয়েছে Page: 51, 52 ২০১৫ সালের। অথচ ২০১৬ সালের হাজিরা খাতায় তার কোন স্বাক্ষর নাই। নাইট গার্ড পদে মোঃ শামছুল ইসলাম ১০/০৫/২০১৬ সালে নিয়োগ বিজ্ঞাপন এবং ০৫/০৬/২০১৬ সালে উক্ত প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেছেন। অথচ যোগদানের আগেই জানুয়ারী/২০১৬ সালে অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারী হাজিরা খাতায় তার নাম ও স্বাক্ষর দেখানো হয়েছে। এতে প্রমাণ হয় যে, ভূয়া, মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।
পরিশিষ্ট-10 পৃষ্ঠা: 32
জেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় টাঙ্গাইল এর অফিস আদেশ পত্রের স্মারক নং জেঃ শিঃ অ/টাং ফাঁকা (নাই) এবং অফিসারের স্বাক্ষরের নিচে তারিখ নাই। এতে প্রমাণ হয় যে, ভূয়া, মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। ANNEXURE- 11 Page: 33-49
নিয়োগ পরীক্ষার খাতায় হল ইনচার্স অথবা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের স্বাক্ষর নাই। এতে প্রমাণ হয় যে, ভূয়া, মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।
চলমান পাতা ০৩
আসামী ৩, ৫ ও ৬ নং উক্ত প্রতিষ্ঠানে সহকারি শিক্ষক পদে নবম ও দশম শ্রেণির পাঠদানের জন্য ২০০০ সালে উক্ত প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ প্রাপ্ত হন এবং বেসরকারী শিক্ষক ও কর্মচারীর নিয়মনীতি বহির্ভূতভাবে ঘুষ ও ব্যাপক দূর্নীতির মাধ্যমে পূর্বের শিক্ষকদের বাদ দিয়ে ২০০২ সালে এম. পি. ও ভুক্ত হন। অথচ বিদ্যালয়টি ২০২২ সালে নিম্ন মাধ্যমিক থেকে মাধ্যমিক স্তরে এম. পি. ও ভুক্ত হয়। তাহলে তারা কীভাবে এম. পি. ও ভূক্তি হলেন? ঠিক একই কায়দায় ১৯ নং আসামী কৃষি ডিপ্লোমা পাস না করিয়া ব্যাপক টাকা পয়সা ঘুষ দিয়ে অনিয়মভাবে ২০০২ সালে নিয়োগ নিয়ে ২০১৬ সালে এম. পি. ও ভুক্ত হন। তিনি ২০০৩ সালে কৃষি ডিপ্লোমা পাস করেন এবং উক্ত প্রতিষ্ঠানে ০১/০১/২০১৫ ইং সালে কৃষি, বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা শাখা খোলা হয়। মহামান্য সুপ্রীম কোর্ট হাইকোর্ট বিভাগ, ঢাকা, বাংলাদেশ এর আদেশ এবং টাঙ্গাইল জেলা শিক্ষা অফিসার এর আদেশ অমান্য করে মামলা চলাকালীন সময় প্রধান শিক্ষক পদে শুধু মোহাম্মদ হযরত আলী উপস্থিত হলে তার স্ত্রী ও শ্যালককে পক্সি হিসেবে ব্যবহার করে এবং সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে ১০/০২/২০২৪ ইং তারিখে অবৈধভাবে নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে মোহাম্মদ হযরত আলীকে প্রধান শিক্ষক পদে এবং মোহাম্মদ ইনছান আলীকে সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রদান করেন এবং তারা উভয়েই ২৫/০২/২০২৪ ইং তারিখে অত্র প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেন। প্রকাশ থাকে যে, ১৮ নং আসামী মোহাম্মদ ইনছান আলী অত্র প্রতিষ্ঠানের নামে সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে সরকারিভাবে ২৩/০৩/২০২৪ ইং থেকে ২৫/০৩/২০২৪ ইং তারিখ পর্যন্ত ট্রেনিং গ্রহণ করেন এবং সরকারি বেতন ভাতা গ্রহণ করেন এবং পূর্বের প্রতিষ্ঠানে সহকারি শিক্ষক (ব্যবসায় শিক্ষা) পদে অদ্যাবধি এম. পি. ও বেতন ভাতার সরকারি অংশ আত্মসাৎ করিতেছেন। মামলা চলমান থাকা অবস্থায় মোহাম্মদ হযরত আলী ৩ জন কর্মচারীর নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে অবৈধভাবে নিয়োগ দেন এবং ১, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯, ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৪ ও ১৫ নং আসামীদের নিয়ে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন না দিয়ে অবৈধভাবে ঘুষ ও দূর্নীতির মাধ্যমে উক্ত প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজিং কমিটি গঠন করেন। ৪ বছরের অধিক সময় ধরে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য থাকার কোন সরকারি বিধান না থাকা স্বত্বেও অনেক সদস্যই ২০ বছরের অধিক সময় ধরে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য পদে আছেন। যাহা বেসরকারি শিক্ষক ও কর্মচারীর নিয়মনীতি বহির্ভূত। অনেক সদস্যদেরই তাদের ছেলে-মেয়ে অত্র বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে না অথবা পাস করে বের হয়ে গিয়েছে, অবৈধভাবে তাদেরও ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য করে রাখা হয়েছে। কমিটির সদস্যগণ অবৈধভাবে নিয়োগ বাণিজ্য, বিদ্যালয়ের টিনের ঘর বিক্রি এবং বিদ্যালয়ের এফ ডি আর এর ফান্ডের টাকা বিবাদীদের যোগসাজশে আত্মসাৎ করে।
আসামীগণ বাংলাদেশ দণ্ড বিধি আইনের ৪৬৩/৪৬৭ (গ), ৪৬৮, ৪৭১, ৩৪ এবং বিভিন্ন ধারায় গুরুতর অপরাধে অপরাধ করিয়াছেন। বাদীপক্ষ উপরে উল্লিখিত বিষয়ে সঠিকভাবে তদন্ত করে বিবাদীগণের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করিতেছেন।
সহকারি শিক্ষিকা মিনা আক্তার বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট “খ” অঞ্চল আদালত, টাঙ্গাইল উক্ত বিষয়ে অভিযোগ দায়ের
করেন এবং মামলা নং- ১১৩২/২০২৪ ইং, আসামীগুলো হলো: ১। মোঃ ছরোয়ার আলম (সাবেক সভাপতি) ২।
আব্দুল বাছেদ সিদ্দিকী (সাবেক প্রধান শিক্ষক) ৩। মোহাম্মদ আফজাল হোসেন মোল্লাহ (সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান
শিক্ষক) ৪। মোহাম্মদ হযরত আলী (প্রধান শিক্ষক) ৫। শামীমা নাসরিন (সাবেক সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষক প্রতিনিধি)
৬। মোহাম্মদ ফজলুল হক (সাবেক শিক্ষক প্রতিনিধি) ৭। মোঃ রফিকুল ইসলাম (সাবেক শিক্ষ প্রতিনিধি) ৮। মোঃ আঃ
মজিদ (সাবেক অভিভাবক সদস্য) ৯। মোঃ আঃ মালেক (সাবেক অভিভাবক সদস্য) ১০। মোঃ আব্দুল হালিম (সাবেক
অভিভাবক সদস্য) ১১। মোঃ জামাল বাদশা (সাবেক অভিভাবক সদস্য) ১২। শান্তা (সাবেক সংরক্ষিত মহিলা
অভিভাবক সদস্য) ১৩। মোঃ হাসমত আলী (প্রতিষ্ঠাতা সদস্য) ১৪। মোঃ আবু সাইদ মিয়া (দাতা সদস্য) ১৫। মোঃ
আঃ লতিফ (কো-অপ্ট সদস্য) ১৯। জামাল বাদশা সহকারি শিক্ষক (কৃষি) ১৮। মোঃ ইনছান আলী (অবৈধ) (সহকারি
প্রধান শিক্ষক) উনারা সকলেই মওলানা ভাসানী উচ্চ বিদ্যালয়, সোলাকুঁড়া, কালিহাতী, টাঙ্গাইল। ১৮। মোঃ ইনছান
আলী সহকারি শিক্ষক (ব্যবসায় শিক্ষা) সল্লা সমবায় উচ্চ বিদ্যালয়, কালিহাতী, টাঙ্গাইল। ১৭। মোঃ মিজানুর রহমান
তালুকদার (পরিদর্শন প্রত্যয়ন কমিটির সদস্য) প্রধান শিক্ষক কালিহাতী আর এস সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়,
কালিহাতী, টাঙ্গাইল। ১৬। মোঃ ইয়াকুব আলী (পরিদর্শন প্রত্যয়ন কমিটির সদস্য) প্রধান শিক্ষক কোকডহরা উচ্চ
বিদ্যালয়, কালিহাতী, টাঙ্গাইল।
মিনা আক্তার ২০১৬ সালে সহকারি গ্রন্থাগারিক বর্তমানে সহকারি শিক্ষক (গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান) এবং মোহাম্মদ রেজাউল করিম সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে ২০১৫ সালে (শর্ত সাপেক্ষে) নিয়োগ নিয়ে অদ্যাবধি নিষ্ঠার সাথে উক্ত প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করিয়া আসিতেছেন।
নিয়োগকালীন সময়ে উক্ত পদগুলোতে এম. পি. ও ভুক্তি সম্ভব না হওয়ায় এবং বর্তমানে উক্ত পদে এম. পি. ও ভুক্তি সম্ভব হলে মামলার বাদীগণের কাছে ২০,০০,০০০/- (বিশ লক্ষ) টাকা ঘুষ হিসেবে আসামীগণ যোগসাজশে দাবী করেন। বাদীগণ টাকা দিতে অস্বীকার করলে আসামীদের যোগসাজশে অত্র প্রতিষ্ঠান থেকে বাদী দুইজনকেই তাড়ানোর জন্য পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র করে বাদী দুইজনের নামে কতকগুলো ভুয়া জাল জালিয়াত কাগজপত্র তৈরি করে যা বাদীগণ বুঝতে পারে নাই। কোন উপায় না পেয়ে উচ্চ আদালতে বাদীগণ মামলা করেন। মিনা আক্তার এর রীট পিটিশন মামলা নং- ১৪৬২০/২৩ এবং মোহাম্মদ রেজাউল করিম এর রীট পিটিশন মামলা নং- ১৫২৯৮/২০২৩ মহামান্য সুপ্রীম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগ, ঢাকা, বাংলাদেশ এ মামলা দায়ের করিলে বাদীগণের পক্ষে রায় আসে। রীট পিটিশন উক্ত মামলাদ্বয়ের রায়ের কাগজ স্বাক্ষীগণের উপস্থিতিতে বিদ্যালয় অফিস কক্ষে আনুমানিক ৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ইং সালে বিবাদীগণের সামনে উপস্থাপন করিলে বিবাদীগণের যোগসাজশে ২ নং আসামী ভরা মজলিসে মিনা আক্তারের চুলে ধরে বিদ্যালয়ের অফিস থেকে বের করে দেয় এবং হুশিয়ারী করে দেয় যে, আর কোনদিন এই বিদ্যালয়ে আসবি না। ভুলেও যদি কোনদিন এই বিদ্যালয়ে আসিস তবে তোর পরিবারের স্বামী সন্তানসহ সবাইকে মেরে লাশ গুম করে ফেলব এবং তোদের বাড়িঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিব।
এরপর ঐ সকল ভূয়া জাল জালিয়াত কাগজপত্র আসল কাগজপত্র হিসেবে ১৫২৯৮/২০২৩ নং রীট পিটিশন মামলায় আসামীদের যোগসাজশে উপস্থাপন করিয়া বাদীপক্ষের রায় বাতিল করিতে চায়। উক্ত মামলায় যে সকল ভূয়া ও জাল জালিয়াত কাগজগুলো উচ্চ আদালতে উপস্থাপন করিয়াছেন তা অপর পৃষ্ঠায় তুলে ধরা হলোঃ
চলমান পাতা ০২পরিশিষ্ট- 3 পৃষ্ঠা: 17
পাতা নং- ০২
বিদ্যালয়ের নাম
VENGULA GIRL’S HIGH SCHOOL, Gopalpur, Tangail.
পদের নাম
সহকারী শিক্ষক (গ্রন্থাগার এবং তথ্য বিজ্ঞান)
সংযোজন- 4 পৃষ্ঠা: 18
BHEGULA BIRLS HIGH SCHOOL, Gopalpur, Tangail.
বিদ্যালয়ের নাম
সহকারী শিক্ষক (গ্রন্থাগার এবং তথ্য বিজ্ঞান)
পদের নাম
সংযোজন- 12 পৃষ্ঠা: 55
বিদ্যালয়ের নাম
ভেঙ্গুলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, গোপালপুর, টাঙ্গাইল।
পদের নাম
সহকারি গ্রন্থাগারিক
উপরের তথ্যগুলোতে ভিন্নতা দেখা যায়। বাস্তবে টাঙ্গাইল জেলায় গোপালপুর উপজেলায় ভেঙ্গুলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় নামে এরূপ কোন প্রতিষ্ঠান নাই। এতে প্রমাণ হয় যে, ভূয়া, মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।
সংযোজন- 6, 7 এবং 12 পৃষ্ঠা: 25, 27 এবং 55
রীট পিটিশন মামলা নং- ১৫২৯৮/২০২৩ এর ঠিকানা এবং বাদী মোহাম্মদ রেজাউল করিম এর জাতীয় পরিচয় পত্রের ঠিকানার সাথে বিবাদীগণের উপস্থাপনকৃত ANNEXURE- 6, 7 and 12 Page: 25, 27 and 55 এর ঠিকানার কোন মিল নাই। বাদীকে ভূয়া ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য বিবাদীগণ যোগসাজশে ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল ঠিকানা ব্যবহার করেছেন। এতে প্রমাণ হয় যে, ভূয়া, মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।
পরিশিষ্ট-5 পৃষ্ঠা: 20, 21, 22 এবং 23
উক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীর হাজিরা খাতায় জানুয়ারী/২০১৬ সালের ১০ জন শিক্ষক ও ৩ জন কর্মচারীর নাম ও স্বাক্ষর দেখা যায় এবং জুন/২০১৬ সালের শুধু ২০ জন শিক্ষকের নাম ও স্বাক্ষর দেখা যায়। উক্ত প্রতিষ্ঠানের হাজিরা খাতা ইহাতে প্রমাণিত হয় ইহা ভূয়া, মিথ্যা ও বানোয়াট।
সংযোজন- 9, 10, 11 পৃষ্ঠা: 30, 31, 32, 33-49, 51, 52 এবং 53
সহকারি গ্রন্থাগারিক ও নাইট গার্ড পদে নিয়োগ বিজ্ঞাপন অত্র প্রতিষ্ঠানের ১০ মে, ২০১৬ সালের এবং মিনা আক্তারের সহকারি গ্রন্থাগারিক নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল দেখানো হয়েছে Page: 51, 52 ২০১৫ সালের। অথচ ২০১৬ সালের হাজিরা খাতায় তার কোন স্বাক্ষর নাই। নাইট গার্ড পদে মোঃ শামছুল ইসলাম ১০/০৫/২০১৬ সালে নিয়োগ বিজ্ঞাপন এবং ০৫/০৬/২০১৬ সালে উক্ত প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেছেন। অথচ যোগদানের আগেই জানুয়ারী/২০১৬ সালে অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারী হাজিরা খাতায় তার নাম ও স্বাক্ষর দেখানো হয়েছে। এতে প্রমাণ হয় যে, ভূয়া, মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।
পরিশিষ্ট-10 পৃষ্ঠা: 32
জেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় টাঙ্গাইল এর অফিস আদেশ পত্রের স্মারক নং জেঃ শিঃ অ/টাং ফাঁকা (নাই) এবং অফিসারের স্বাক্ষরের নিচে তারিখ নাই। এতে প্রমাণ হয় যে, ভূয়া, মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। ANNEXURE- 11 Page: 33-49
নিয়োগ পরীক্ষার খাতায় হল ইনচার্স অথবা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের স্বাক্ষর নাই। এতে প্রমাণ হয় যে, ভূয়া, মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।
চলমান পাতা ০৩
আসামী ৩, ৫ ও ৬ নং উক্ত প্রতিষ্ঠানে সহকারি শিক্ষক পদে নবম ও দশম শ্রেণির পাঠদানের জন্য ২০০০ সালে উক্ত প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ প্রাপ্ত হন এবং বেসরকারী শিক্ষক ও কর্মচারীর নিয়মনীতি বহির্ভূতভাবে ঘুষ ও ব্যাপক দূর্নীতির মাধ্যমে পূর্বের শিক্ষকদের বাদ দিয়ে ২০০২ সালে এম. পি. ও ভুক্ত হন। অথচ বিদ্যালয়টি ২০২২ সালে নিম্ন মাধ্যমিক থেকে মাধ্যমিক স্তরে এম. পি. ও ভুক্ত হয়। তাহলে তারা কীভাবে এম. পি. ও ভূক্তি হলেন? ঠিক একই কায়দায় ১৯ নং আসামী কৃষি ডিপ্লোমা পাস না করিয়া ব্যাপক টাকা পয়সা ঘুষ দিয়ে অনিয়মভাবে ২০০২ সালে নিয়োগ নিয়ে ২০১৬ সালে এম. পি. ও ভুক্ত হন। তিনি ২০০৩ সালে কৃষি ডিপ্লোমা পাস করেন এবং উক্ত প্রতিষ্ঠানে ০১/০১/২০১৫ ইং সালে কৃষি, বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা শাখা খোলা হয়। মহামান্য সুপ্রীম কোর্ট হাইকোর্ট বিভাগ, ঢাকা, বাংলাদেশ এর আদেশ এবং টাঙ্গাইল জেলা শিক্ষা অফিসার এর আদেশ অমান্য করে মামলা চলাকালীন সময় প্রধান শিক্ষক পদে শুধু মোহাম্মদ হযরত আলী উপস্থিত হলে তার স্ত্রী ও শ্যালককে পক্সি হিসেবে ব্যবহার করে এবং সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে ১০/০২/২০২৪ ইং তারিখে অবৈধভাবে নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে মোহাম্মদ হযরত আলীকে প্রধান শিক্ষক পদে এবং মোহাম্মদ ইনছান আলীকে সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রদান করেন এবং তারা উভয়েই ২৫/০২/২০২৪ ইং তারিখে অত্র প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেন। প্রকাশ থাকে যে, ১৮ নং আসামী মোহাম্মদ ইনছান আলী অত্র প্রতিষ্ঠানের নামে সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে সরকারিভাবে ২৩/০৩/২০২৪ ইং থেকে ২৫/০৩/২০২৪ ইং তারিখ পর্যন্ত ট্রেনিং গ্রহণ করেন এবং সরকারি বেতন ভাতা গ্রহণ করেন এবং পূর্বের প্রতিষ্ঠানে সহকারি শিক্ষক (ব্যবসায় শিক্ষা) পদে অদ্যাবধি এম. পি. ও বেতন ভাতার সরকারি অংশ আত্মসাৎ করিতেছেন। মামলা চলমান থাকা অবস্থায় মোহাম্মদ হযরত আলী ৩ জন কর্মচারীর নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে অবৈধভাবে নিয়োগ দেন এবং ১, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯, ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৪ ও ১৫ নং আসামীদের নিয়ে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন না দিয়ে অবৈধভাবে ঘুষ ও দূর্নীতির মাধ্যমে উক্ত প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজিং কমিটি গঠন করেন। ৪ বছরের অধিক সময় ধরে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য থাকার কোন সরকারি বিধান না থাকা স্বত্বেও অনেক সদস্যই ২০ বছরের অধিক সময় ধরে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য পদে আছেন। যাহা বেসরকারি শিক্ষক ও কর্মচারীর নিয়মনীতি বহির্ভূত। অনেক সদস্যদেরই তাদের ছেলে-মেয়ে অত্র বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে না অথবা পাস করে বের হয়ে গিয়েছে, অবৈধভাবে তাদেরও ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য করে রাখা হয়েছে। কমিটির সদস্যগণ অবৈধভাবে নিয়োগ বাণিজ্য, বিদ্যালয়ের টিনের ঘর বিক্রি এবং বিদ্যালয়ের এফ ডি আর এর ফান্ডের টাকা বিবাদীদের যোগসাজশে আত্মসাৎ করে।
আসামীগণ বাংলাদেশ দণ্ড বিধি আইনের ৪৬৩/৪৬৭ (গ), ৪৬৮, ৪৭১, ৩৪ এবং বিভিন্ন ধারায় গুরুতর অপরাধে অপরাধ করিয়াছেন। বাদীপক্ষ উপরে উল্লিখিত বিষয়ে সঠিকভাবে তদন্ত করে বিবাদীগণের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করিতেছেন।