রোববার (৪ জুলাই) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ই-ক্যাব আয়োজিত ডিএনসিসি ডিজিটাল পশুর হাটের উদ্বোধন শেষে তিনি এ আহ্বান জানান।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী দেশে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি থাকায় জনসমাগম এড়াতে হাটে না গিয়ে অনলাইনে পশু কেনাবেচায় সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করতে ইউনিয়ন পর্যায়ের ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করার জন্য সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, ই-কমার্স একটি আধুনিক বাণিজ্যিক পদ্ধতি, যা দীর্ঘদিন ধরে মানুষের আস্থা অর্জন করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। করোনা মহামারিতে ই-কমার্সের গুরুত্ব আরও বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ই-ক্যাবসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে আসায় দেশের করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার পাশাপাশি ঘরবন্দী মানুষের কাছে সহজেই প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সহজে পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে।
তিনি বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর করোনা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। জনসমাগম এড়াতে আমাদের আরও বেশি সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। গত ঈদুল আযহা পশুর হাট পরিচালনায় অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে। তবে আমরা সফল হয়েছি। এ বছরও সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মোকাবিলা করতে পারব বলে বিশ্বাস করি।
তিনি আরও বলেন, অনলাইনে কেনাকাটায় সব মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে। যারা ডিজিটাল টেকনোলজি সম্পর্কে অথবা ডিজিটাল লেনদেন সম্পর্কে খুব ভালো জানেন না তাদেরকে কীভাবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সম্পৃক্ত করা যায় সে উপায় বের করতে হবে। গণমাধ্যমে মাধ্যমে ডিজিটাল প্লাটফর্মে অনলাইনে কেনাকাটা বৃদ্ধিকরণে মানুষকে উৎসাহিত করতে প্রচার-প্রচারণার চালানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করতে হবে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল প্লাটফর্ম শুধু ক্রয়-বিক্রয় নয়, অর্থনৈতিক, সামাজিক নিরাপত্তা ও যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ অনেক বিষয়ে অবদান রাখছে। এই ব্যবস্থা শুধু শহরে নয় গ্রামে-গঞ্জেও ছড়িয়ে যাবে। পুরো পৃথিবী একটি ভয়ানক পরিস্থিতির মধ্যে অতিবাহিত হচ্ছে। বিভিন্ন দেশে করোনার তাণ্ডবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডসহ মানুষের জীবন-জীবিকা স্থবির হয়ে পড়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বহুমাত্রিক ব্যবস্থাপনা গ্রহণের ফলে আমাদের দেশে করোনা সেরকম প্রভাব ফেলতে পারেনি।
ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি ডিজিটাল হাটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ, মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ই-ক্যাবের প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার প্রমুখ।