বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক :এ বছর ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে ডিজিটাল হাটের মাধ্যমে এক লাখ গরু কেনাবেচার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। গতকাল (৪ জুলাই) দুপুরে ভার্চুয়ালি ডিজিটাল পশুর হাটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বক্তব্যে এই লক্ষ্যমাত্রার কথা জানান মেয়র আতিকুল ইসলাম।
এসময় সভাপতির বক্তব্যে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবারও আমরা একটা স্লাটার হাউজের (জবাইখানায়) জন্য জায়গা ঠিক করেছি। সেখানে আমরা প্রায় এক হাজার গরু কোরবানি দেওয়ার জন্য প্ল্যাটফর্ম প্রস্তুত করেছি। ১০ জুলাইয়ের মধ্যে কেউ ডিএনসিসির ডিজিটাল হাট থেকে গরু কিনে বুকিং দিলেই আমরা গরু জবাই দিয়ে তাদের বাসায় মাংস পৌঁছে দেব। এ কাজের জন্য আমাদের কাছে প্রায় ২৫টি ফ্রিজাপ ভ্যান আছে। আমাদের ডিজিটাল হাটের মাধ্যমে গত বছরে প্রায় ২৭ হাজার গরু বেচাকেনা হয়েছে। এবার আমাদের টার্গেট কমপক্ষে এক লাখ গরু এই হাটের মাধ্যমে বিক্রি করা। এটা যদি করতে পারি তাহলে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ গরুর হাটে যাবে না। এতে করে আমরা করোনা সংক্রমণের হার কমাতে পারবো।
মেয়র আরো বলেন, এবারের ডিজিটাল হাটে স্ক্রো পদ্ধতি মানা হবে। যার ফলে গরু বিক্রির সঙ্গে সঙ্গে সেই টাকা বিক্রেতা পাবেন না। এটা চলে যাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি একাউন্টে। যখন ক্রেতা গরু হাতে পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করবেন এবং কোনো অভিযোগ নেই বলে জানাবেন তখনই গরুর বিক্রেতা টাকা পাবেন। এবার আমরাই এই স্ক্রো পদ্ধতিটা ডিজিটাল হাটে যুক্ত করেছি।
ডিজিটাল হাট উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। ফলে দ্বিতীয়বারের মত দেশে চালু হলো কোরবানির পশুর ডিজিটাল হাট। এই হাটে ই-ক্যাব (ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) এবং বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানের খামারগুলো তাদের পশু বিক্রি করতে পারবেন। ইতোমধ্যেই পশু ক্রয়-বিক্রয়ের নিয়মও ঠিক করে দেওয়া হয়েছে।
উদ্বোধন করার পরই এক লাখ ৪৮ হাজার টাকায় ডিজিটাল হাট থেকে থেকে গরু কেনেন তিনি। দ্বিতীয়বারের মতো এই হাট থেকে গরু কিনলেন মন্ত্রী। এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তাজুল ইসলাম বলেন, গতবছরেও ডিজিটাল হাটে সফলতা পেয়েছে। করোনা মহামারীর মধ্যে যত বেশি পশু অনলাইনে কেনা যাবে তত বেশি সংক্রমণ মোকাবেলা করা যাবে। এসময় তিনি মানুষকে অনলাইনে পশু কিনতে আহ্বান জানান।
ভার্চুয়াল এই সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সারসহ আরো অনেকে।