জালালুর রহমান, মৌলভীবাজার: জেলার কুলাউড়ায় উপজেলা স্বাস্থ্যা কেন্দ্রের সামনে দুটি ফার্মেসীকে ভেজাল ঔষধ বিক্রি করায় বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে ভেজাল ডায়েবেটিক ষ্টিক জব্ধ ও জরিমানা করেছে। ঔষধ প্রশাসনের মৌলভীবাজার কার্যালয়ের ড্রাগ সুপার মেহেদী হাসান জানান, কুলাউড়া উপজেলা হাসপাতালের সামনে মেসার্স শামীম ফার্মেসী এবং মেসার্স জনকল্যান ফার্মেসী’তে বুধবার দুপুরে কুলাউড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার(ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শাহ জহুরুল হোসেন এর নেতৃত্বে ঔষধ প্রশাসনের মৌলভীবাজার কার্যালয়ের ড্রাগ সুপার মেহেদী হাসান ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে ভেজাল ডায়েবেটিক ষ্টিক ও ভেজাল ঔষধ বিক্রি করায় মেসার্স শামীম ফার্মেসীকে ২৫০০/=(দুই হাজার পাঁচ শত) টাকা ও মেসার্স জনকল্যান ফার্মেসীকে ২৫০০/=(দুই হাজার পাঁচ শত) টাকা অর্থদন্ড করা হয়।
সেই সাথে ভ্রাম্যমান আদালত দুটি ফার্মেসীকে ভবিষ্যতে যাতে ভেজাল ডায়েবেটিক ষ্টিক ও ঔষধ বিক্রি না করার জন্য সতর্ক করেছেন। উল্লেখ্য, মেসার্স শামীম ফার্মেসী থেকে বেশ কিছুদিন আগে কুলাউড়ায় উপজেলার মাগুরা এলাকার একজন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ভেজাল ডায়েবেটিক ষ্টিক ক্রয় করে বাড়িতে ডায়েবেটিক পরীক্ষা করেন। কিন্তু ভেজাল কুইক চেক ষ্টীকের ভুল রেজাল্ট আসায় তিনি ডায়েবেটিক ঔষধ দু’বেলা খেয়ে মারাত্মক অসুস্থা হয়ে পরেন। শিক্ষিকাকে পরিবার দ্রুত তাকে চিকিৎসকের নিকট নিয়ে গেলে ভেজাল কুইক চেক ষ্টীকের বিষয়টি ধরা পড়ে। শিক্ষিকাকে দ্রুত চিকিৎসা দিয়ে তার জীবন রক্ষা করেন চিকিৎসক। এভাবে ভেজাল ডায়েবেটিক ষ্টিকের কারণে যেকোন রোগীর মৃত্যু হতে পারে বলে চিকিৎসক ডা. রাসেল আহমদ জানান। সচেতন মহলের দাবি এধরনের ভেজাল কুইক চেক ষ্টীক যেনে শুনে যে ফার্মেসী বিক্রি করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থাা গ্রহন করতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এবং মৌলভীবাজারের ড্রাগ সুপার এর দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন। তা নাহলে কিছু অর্থ লোভী ফার্মেসী মালিকের জন্য যেকোন ব্যক্তির মৃত্যু ঘটতে পারে।