বই বাঁধাই শিল্পে সিন্ডিকেট বিলুপ্ত করাসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পুস্তক বাঁধাই ব্যবসায়ী সমিতি। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সব দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ পুস্তক বাঁধাই ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নাঈমুর রহমান কিরণ। এ সময় আরও বক্তৃতা করেন-সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান কচি, কোষাধ্যক্ষ মো. শহিদুল ইসলাম তোতা, যুগ্ম সম্পাদক আল আমিন খান, সাবেক সহসভাপতি রোকন উদ্দিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, পুস্তক বাঁধাই ব্যবসায়ী সমিতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রেজিস্ট্রারকৃত অনুমোদিত এবং এফবিসিআইয়ের প্রথম শ্রেণির সদস্য। স্বাধীনতা উত্তর জাতীয় পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক বোর্ড বই টেন্ডারের মাধ্যমে তালিকা ভুক্তি অবস্থায় বই বাঁধাই করে আসছি। বোর্ড বই সৃজনশীল ও ধর্মীয় বইসহ সকল প্রকার বই আমাদের সংগঠনের মাধ্যমে বাঁধাই করা হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় ১৯৯৯ সালে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান আমাদের সংগঠনকে তালিকা থেকে বাদ দিয়ে একচেটিয়াভাবে কুক্ষিগত করেন। পরবর্তীতে তার নেতৃত্বেই মুদ্রাকারদের একটি সিন্ডিকেট গড়ে ওঠে।
তারা আরও বলেন, সরকারের নীতিমালায় উল্লেখ রয়েছে যে, প্রকাশনী বই প্রকাশ করবে। মুদ্রাকার বই মুদ্রণ করবে এবং বাঁধাইকারক বই বাঁধাই করবে। কিন্তু এই নীতিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এই সিন্ডিকেট একচেটিয়াভাবে কাজ বাগিয়ে নেয়। এত দিন ধরে ওপেন টেন্ডারের কোনো তোয়াক্কা না করে কিছু সরকারি কর্মকর্তার যোগসাজশে কাজ করে আসছে। দীর্ঘদিনের এই অচলাবস্থা নিরসনে শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা সচিব, পাঠ্যপুস্তক বোর্ড চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেও কোনো সুরাহা পাইনি।
তারা বলেন, পুস্তক বাঁধাই ব্যবসায়ীরা সবচেয়ে নির্যাতিত অবস্থায় দিন অতিবাহিত করছেন। অথচ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিক্ষার ক্ষেত্রে তাদের অবদানও কম নয়। বিগত অবৈধ সরকারের অবৈধ সিন্ডিকেটের কবলে সব হারাতে বসেছেন তারা।
তাদের দাবিসমূহ হলো;
১. বাঁধাই শিল্পে মুদ্রাকারকদের অনৈতিক হস্তক্ষেপ ও সিন্ডিকেটের বিলুপ্ত সাধন করতে হবে।
২. সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী ওপেন টেন্ডারের মধ্য দিয়ে পূর্বের মতো সরকারের সঙ্গে সরাসরি কাজের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।
৩. বাঁধাই কাজের সকল সরকারি সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাঁধাইকারকদের নির্বাচিত প্রতিনিধির প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।