বঙ্গ নিউজ বিডি ডেস্ক: নতুন করে শুরু হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)। গণরুম বিলুপ্ত করে শিক্ষার্থীদের যার যার হলে সিট বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে নবিন শিক্ষার্থীদের আগমনে মুখরিত হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস।
রোববার (১৯ অক্টোবর) থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের (৫৩তম ব্যাচের) শ্রেণি কার্যক্রম। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সন্তোষ প্রকাশ করছেন শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে বিভিন্ন আবাসিক হলে দেখা যায়, হল প্রাঙ্গণ ভরে আছে নবীন শিক্ষার্থীদের। হলের নোটিশ বোর্ড থেকে কক্ষ নম্বর দেখে নির্ধারিত সিটে উঠছেন তারা। কোনো কোনো হলের পক্ষ থেকে মিষ্টি ও ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হচ্ছে তাদের। হলে শিক্ষার্থীদের কক্ষে গিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা।
দর্শন বিভাগে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থী সেলিম আল-দ্বীন বলেন, যদিও দীর্ঘদিন পর ক্লাস শুরু হচ্ছে। তবুও ক্যাম্পাসে আসার পর ভালো লাগছে। বিগত বছরগুলোতে গণরুমের কথা শুনেছি। যেখানে ৩৫-৪০ জন থাকতো। কিন্তু এবার গণরুম বিলুপ্ত করে যার যার হলে সিট বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধেও নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আমরা খুশি।
এদিকে জাহাঙ্গীরনগর সংস্কার আন্দোলনের ব্যানারে নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবি এবং নবীনদের স্বাগত জানিয়ে মানববন্ধন করা হয়। এতে শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক খো. লুৎফুল এলাহী বলেন, র্যাগিং এবং গণরুম মুক্ত হয়ে জাহাঙ্গীরনগর আবার নতুনভাবে পথচলা শুরু করেছে। আশা করি এই পরিবেশ অব্যাহত থাকবে। প্রশাসনও এ বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখবে।
নতুন করে শুরু হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)। গণরুম বিলুপ্ত করে শিক্ষার্থীদের যার যার হলে সিট বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে
বিভিন্ন হল পরিদর্শন করে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, আমি এখন পর্যন্ত পাঁচটি হল পরিদর্শন করেছি। সার্বিক পরিবেশ সুন্দর মনে হয়েছে। এটা আমাদের জন্য নিঃসন্দেহে আনন্দের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফলে আমরা বিভিন্ন দায়িত্ব পেয়েছি। তাদের জন্য শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইতোমধ্যে গণরুম বিলুপ্ত করে র্যাগিং ও মাদক নির্মূলে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আশা করছি সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতায় এ ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।
এদিকে প্রথমবারের মতো চালু হওয়ায় হলে উঠতে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন বীর প্রতীক তারামন বিবি হলে আসনপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা। বর্তমান শিক্ষার্থীরা হলের বিভিন্ন কক্ষে তালা দেওয়ায় এমনটি ঘটেছে বলে জানা গেছে।