জুনায়েদ আহম্মেদ, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:লক্ষ্মীপুরের বশিকপুরে পাওনা টাকা চাওয়ায় দেবরের হাতে মারধরের শিকার হয়েছে ফাতেমা বেগম (৩৫) নামে এক নারী। এসময় ওই নারীর বারো বছরের কন্যা সন্তান জেরিনকেও মারধর করা হয়েছে, দাবি ভুক্তভোগীর। এঘটনায় দত্তপাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে একটি অভিযোগ দায়ের করেন ফাতেমা বেগম। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পুলিশ অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে রোববার (২০ অক্টোবর) ওই ইউনিয়নের কাচারী বাড়িতে এঘটনা ঘটে।
আহত ফাতেমা বেগম সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের পূর্ব বশিকপুর গ্রামের কাচারী বাড়ির অহিদের স্ত্রী। অপর আহত জেরিন তার মেয়ে। অভিযুক্তরা সম্পর্কে ফাতেমা বেগমের দেবর ও দেবরের স্ত্রী।
অভিযুক্ত জহিরুল ইসলাম কাচারী বাড়ির শফিক উল্যাহর ছেলে ও নার্গিস আক্তার জহিরুল ইসলামের স্ত্রী।
আহত ফাতেমা বেগম জানায়, তার স্বামী অহিদ ঢাকায় চাকরি করে। কয়েক বছর আগে তার স্বামীর ছোট ভাই জহিরের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে দেনমোহরের টাকা পরিশোধের জন্য তার স্বামীর কাছে তিন লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকা ঋণ চায়। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও জহির তার ভাইয়ের পাওনা টাকা না দেয়ায় তাদের মাঝে মনোমালিণ্য দেখা দেয়। ঘটনার দিন পাওনা টাকা দাবি করলে জহির, তার দ্বিতীয় স্ত্রী নার্গিস ও কয়েকজন বহিরাগতদের খবর দিয়ে তাকে মারধর শুরু করে। এসময় তার মেয়ে জেরিনকেও তারা মারধর করে বসতঘর ভাংচুর করে।
ভুক্তভোগীর স্বামী অহিদ জানায়, প্রায় ১০ বছর পূর্বে তার ছোট ভাই জহিরের প্রথম স্ত্রীর দেনমোহরের টাকা পরিশোধের জন্য তার কাছ থেকে তিন লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকা ঋণ নেয়। টাকা ফেরত না দেয়ায় তার ভাই জহিরের সাথে তার তেমন যোগাযোগ নেই। তিনি ঢাকা থাকায় তার স্ত্রী সেই টাকা দাবি করলে জহির দলবল নিয়ে তার স্ত্রী ও মেয়েকে মারধর করে। এঘটনায় তিনি প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচার ও পাওনা টাকা উদ্ধারে আইনগত সহায়তার দাবি করেন।
এবিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি কায়সার হামিদ বলেন, হামলা ও পাওনা টাকার বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন।