নিজস্ব প্রতিবেদক : সাভারের কাউন্দিয়ায় সংখ্যালঘু পরিবারের উপর হামলা ভাঙচুর লুটপাট ও বাড়ি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে কাউন্দিয়া ইউনিয়নের মালেক ব্যাপারীর ছেলে ইদু মিয়া ও সামান মিয়া এই দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে । গত ৪ নভেম্বর (সোমবার ) ২০২৪ ইং সন্ধ্যা সাত ঘটিকার সময় পর কাউন্দিয়া ইউনিয়ন এর মাঝির ঘাট স্থানীয় জয় গোপাল কবিরাজ এর বাড়ি ভাঙচুর লুটপাট হত্যা চেষ্টা ও বাড়ি দখলের চেষ্টার এ অভিযোগ ওঠে তাদের বিরুদ্ধে ।
জয় গোপাল কবিরাজ বলেন আমি একটি কাজে বাড়ি থেকে দূরে গেলে এই সুযোগে স্থানীয় সন্ত্রাসী ইদু মিয়া ও সামান মিয়া লোকজন নিয়ে আমার বাড়িতে ঢুকে প্রথমে ভাঙচুর লুটপাট করে এবং আমার বাড়িতে থাকা স্ত্রী শ্রী নয়ন কবিরাজ, শালী অঞ্জনা রাজবংশী, ও আমার স্ত্রীর ভাইয়ের মেয়ে অজান্তা রাজবংশীকে মারধর করে এবং স্বর্ণ অলংকার লুট করা হলে তাদের হত্যা ও বাড়ি দখলের ভয় দেখিয়ে রুমে থাকা ৪ লক্ষ টাকা তারা জোরপূর্বক নিয়ে যায় এবং যাওয়ার সময় বলেন বাড়িতে থাকতে হলে আরো টাকা দিতে হবে- না হলে বাড়ির গেটে তালা লাগিয়ে দিবে , এ ব্যাপারে আমি স্থানীয় কাউন্দিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে জানালে কোন প্রতিকার পাইনি ।
এদিকে জয় গোপাল কবিরাজের স্ত্রী শ্রী নয়ন কবিরাজ বলেন আমার স্বামী যা বলেছে সবই সত্য , তিনি আরো বলেন সন্ত্রাসীরা তাকে মারধর করে জখম করে , তার পরনের ওড়না এই প্রতিবেদককে দেখিয়ে বলেন এই দেখুন আমার ওড়না ছেড়া। নাম বলতে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন বলেন সংখ্যালঘু হিন্দুদের বাড়িঘর জায়গা জমি জবর দখল ও লুটপাট করাই তাদের পেশা , এর আগে আরেকটি হিন্দু পরিবারের জায়গা দখল করে নিয়েছে এই দুই ভাই এমনটিই বলেন তারা । তারা আরো বলেন জয় গোপাল কবিরাজের বোন জামাই বিজয় মন্ডল ও বোন রাধারানী প্রায় দশ দিন হল নিখোঁজ আর এই সুযোগে ইদু মিয়া ও সমান মিয়া বলে জয় গোপাল কবিরাজের নিখোঁজ বোনজামাই এর কাছ থেকে বাড়ি ক্রয় করে নিয়েছে , তারা আরো বলেন ক্রয় করে থাকলে জয় গোপালের বোনজামাই নিখোঁজ এর আগে তারা কেন বলেনি এখানেইতো সন্দেহ, এছাড়া ক্রয় করে থাকলে ভাঙচুর লুটপাট কেন করবে দেশে তো আইন আছে তারা আইনের আশ্রয় নিতে পারত এখনতো তারা মারধর ভাঙচুর লুটপাট ক্ষয়ক্ষতি করে বেআইনি কাজ করেছে তাই এদের আইন অনুযায়ী বিচার হওয়া উচিত। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর পরই তারা বেপরোয়া হয়ে ওঠে বলেও তারা জানান। এদিকে বিভিন্ন জেলায় ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষার দাবিতে গত শনিবার গণসমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃত্বে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে বক্তারা সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়নসহ আট দফা দাবি জানিয়ে আসছেন । এগুলোর মধ্যে রয়েছে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তদন্তের দাবি। দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সহিংসতা ও সংখ্যালঘু নির্যাতনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তারা সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, তাঁদের দাবি পূরণ না হলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে। আর এরই মধ্যে এরকম একটি ঘটনা স্থানীয় সুশীল সমাজ মেনে নিতে পারছেন না তারা বলেন এভাবে আর কতদিন চলবে সরকার কর্তৃক দ্রুত এসবের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা , এ ব্যাপারে জানতে সাভার থানা পুলিশের মুঠোফোনে কল করে না পেয়ে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ দিয়ে জানতে চাইলে কোন উত্তর পাওয়া যায়নি । এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কাউন্দিয়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই নুর আলম বলেন- আমরা বিষয়টি জানি তারপরও আপনারা ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত করে সঠিক ঘটনা জেনে নিন ।