বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জুস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের পরিবারকে ২০ লাখ এবং আহতদের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও বাংলাদেশ ছাত্র, যুব, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সমন্বয়ক নুরুল হক নুর।
শনিবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ দাবি জানান।
ভিপি নুর প্রকৃত ঘটনার রহস্য উন্মোচনে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে ঘটনার মূল রহস্য খুঁজে বের করে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান বিজ্ঞপ্তিতে।
তিনি বলেন, রূপগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে স্বজনহারা ও আহত পরিবারের ন্যায় আমরাও ব্যথিত ও মর্মাহত এবং রাষ্ট্রের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে খুবই উদ্বিগ্ন। গণমাধ্যম ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, ৬ তলা ভবনের নিচতলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়, যা মুহূর্তের মধ্যে অন্য ফ্লোরেও দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ে। দীর্ঘ ১৯-২১ ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিসের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও আগুনে ব্যাপক প্রাণহানি ও আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে ভিপি নুর বলেন, এটি স্পষ্ট দায়িত্ব অবহেলার নজির।আগুন নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘ সময় লাগার কারণ হিসেবে ভবনের চতুর্দিকে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি প্রবেশের সুযোগ না থাকা ও ভবনে বিভিন্ন দাহ্য পদার্থ থাকাকে উল্লেখ করা হয়েছে।ওই কারখানায় কী পরিমাণ দাহ্য পদার্থ ছিল তার হিসাব কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের কাছেও নেই, যা স্পষ্টতই তাদের দায়িত্ব অবহেলার নজির। অধিক সংখ্যক মৃত্যুর কারণ হিসেবে ভবনে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকা, প্রশস্ত ও দুইয়ের অধিক সিঁড়ি না থাকা এবং ছাদ ও নিচের ফ্লোরের তালাবদ্ধ গেটের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে তিনি আরও বলেন, আমরা খুবই উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি- প্রায় প্রতিবছর বিভিন্ন আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন ও শিল্পকারখানায় এমন মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও এসব প্রতিরোধে সরকারের তেমন সময়োপযোগী ও ফলপ্রসূ পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায়নি। ঘটনা ঘটলে শুধু দায়সারা তদন্ত কমিটি গঠন ও নামেমাত্র ক্ষতিপূরণ দেওয়ার মধ্যেই সরকারের কাজ সীমাবদ্ধ পরিলক্ষিত হয়েছে। যে কারণে সড়ক দুর্ঘটনা এবং অগ্নিকাণ্ডের মতো একই রকম ঘটনা বারবার ঘটছে এবং জনজীবনে বিপর্যয়ের পাশাপাশি দেশের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। তাই এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জোরালো দাবি জানাই।
ভিপি নুর বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, আমরা নিহত প্রত্যেক পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ন্যূনতম ২০ লাখ ও আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনসহ ন্যূনতম ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। একইসঙ্গে কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের নিরাপদ পরিবেশ ও সুরক্ষা নিশ্চিতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ারও জোরালো দাবি জানাই।