বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: ওয়েম্বলিতে আবারো ধাক্কা খেলো ইংল্যান্ডের স্বপ্ন। এগিয়ে গিয়েও গোল হজম করলো থ্রি লায়নরা। পিছিয়ে থেকেও ম্যাচে ফিরে আক্রমণাত্মক ইতালি। নব্বই মিনিটের পর অতিরিক্ত সময়েও কেউ এগিয়ে যেতে না পারায় খেলা গড়ালো টাইব্রেকার।
টাইব্রেকারে ৩-২ গোলে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয়ী হয়েছে ইতালি।
দলে একটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে ইংল্যান্ড। অন্যদিকে স্পেনকে হারানো দলের উপরই ভরসা রাখেন ইতালি কোচ রবার্তো মানচিনি। ম্যাচ শুরু হবার পর, কিছু বুঝে উঠার আগেই লিড পেয়ে যায় ইংল্যান্ড।
কাইরেন ট্রিপিয়ারের অ্যাসিস্টে ইউরোর ফাইনালের ইতিহাসে দ্রুততম গোলের রেকর্ড গড়েন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে খেলা লুক শো।
ইতালি প্রথম সুযোগ পায় ৮ মিনিটের মাথায়। কিন্তু ডিবক্সের বাইরে থেকে নেয়া শট চলে যায় বারের বাইরে।
এরপরও ইনসিনিয়ে-কিয়েসারা চেষ্টা করেছেন কিন্তু সমতায় ফেরাতে পারেননি দলকে। ৩৫ মিনিটে আবারো লুক শো আক্রমণে।
এবার অল্পের জন্য গোল মিস করে মেসন মাউন্ট।
বিরতি থেকে ফিরে আক্রমণের গতি বাড়ায় ইংল্যান্ড। অন্যদিকে, কৌশল বদলে রক্ষণ খোলসে ঢুকে যায় ইংল্যান্ড। কিন্তু ইতালির হাই প্রেস ফুটবলের সামনে দিশেহারা হয়ে পরে ট্রিপিয়ার, ফিলিপসরা।
একের পর এক আক্রমণে তটস্থ হয়ে যায় পিকফোর্ড।
এই সুযোগেই নিজেদের ডেডলক ভাঙে ইতালি। ৬৭ মিনিটে স্কোর করেন লিওনার্দো বোনুচ্চি। কর্ণার থেকে পাওয়া বল ঠান্ডা মাথায় প্লেস করেন আজ্জুরিদের রক্ষণ সেনানি। আনন্দে ফেটে পরে নীল শিবির।
অতিরিক্ত সময়ে এসে এবার নিজেদের কৌশলে ঘষামাজা করে নেয় ইতালিয়ানরা। বল পায়ে রেখে অতিরিক্ত আক্রমণের নীতি থেকে সরে আসে মানচিনি বাহিনী। প্রথাগত রক্ষণাত্মক কৌশল এবার আজ্জুরিদের ঢাল।
অভিজ্ঞতার কাছে মার খেতে থাকে থ্রি লায়নরা। আক্রমণে গেলেও বার বার হোঁচট খেতে থাকে তারা কিয়েল্লিনি-বোনুচ্চি বাঁধায়।
ফলাফল, টাইব্রেকে গড়ালো ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে।