বঙ্গ নিউজ বিডি ডেস্ক: এক দশক আগে সিলেটে বিএনপির তৎকালীন সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান (বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দুটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেছিলেন দুই ছাত্রলীগ নেতা। মামলায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও মাল ক্রোকের নির্দেশও দেন আদালত। পরবর্তীতে মামলার আর কোনো অগ্রগতি হয়নি। এ অবস্থায় আজ রোববার মামলা দুটি খারিজ করে দিয়েছেন সিলেটের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ছগির আহমেদ।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশ্যে মামলা করায় আদালত মামলা দুটি খারিজ করে দিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২২ ডিসেম্বর তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা করেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তৎকালীন শাহরিয়ার আলম সামাদ ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি শামীম মোল্লা।
মামলার অভিযোগ বলা হয়, ২০১৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্য বিএনপির আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তারেক রহমান। তার বক্তব্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌম, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়েও কটূক্তি করেন তিনি। মামলার পর তৎকালীন আদালতের বিচারক আনোয়ারুল হক মামলা দুটি আমলে নিয়ে সরকারের অনুমোদনক্রমে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে মহানগর পুলিশের শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন। পুলিশ পরবর্তীতে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও পরে তার মালামাল ক্রোকের নির্দেশ দেন আদালত। ওই সময় বিএনপি মামলার বিরুদ্ধে আন্দোলনও করে। প্রায় ১০ বছর পর আজ রোববার আদালত রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশ্যে দায়ের করা মামলা দুটি খারিজ করে দেন।
এদিকে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলা থেকে সব আসামি খালাস ও সিলেটে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা খারজি করায় বিকেলে সিলেটে আনন্দ মিছিল করে বিএনপি। মিছিলটি কোর্ট পয়েন্ট থেকে শুরু আম্বরখানায় গিয়ে পথসভার মাধ্যমে শেষ হয়। এতে বক্তব্য দেন মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নজিবুর রহমান নজিব প্রমুখ।