মোঃ ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালী সুবর্ণচরে সংখ্যালঘু হিন্দুধর্মালম্বী এক পরিবারের বাড়ী ঘরে হামলা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
এঘটনায় নন্দিতারানী দাস বাদী হয়ে চরজব্বর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। লিখিত অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চরজব্বর থানা পুলিশ। তবে ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে এখনো আটক করতে পারেনি পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটে ১৫ ডিসেম্বর (রোববার) সুবর্ণচর উপজেলা ৩ নং চরক্লার্ক ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড, দক্ষিন চরক্লার্ক গ্রামের সঞ্জয় ডাক্তারের বাড়ীতে।
থানায় মামলা অভিযোগপত্র এবং ভুক্তভোগী নন্দিতা রানী দাস (৩৫), তার স্বামী স্বপন চন্দ্র দাসের অভিযোগ করে বলেন, ১৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় দক্ষিন চরক্লার্ক গ্রামের ইসমাইল হোসেন ওরপে পাটোয়ারী মেস্ত্রীর পুত্র আব্দু্ল মোতালেব (৪০) নির্দেশে তার ভাই ইলিয়াস সোহেল (৩৫), সৌরভ (৩৮), হাসান টেইলার (৫০) একই গ্রামের ইব্রাহিমের পুত্র ইলিয়াস সোহেল, স্খানীয় ইউনুসসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে বসতঘর জায়গা জমি দখল করার জন্য তার বাড়ীতে এসে অকত্য ভাষায় গালমন্ধ করতে থাকে নন্দিতা রানী দাস বাঁধা দিলে অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্র, লাটি, সোটা ও দা নিয়ে তাকে মারার জন্য ধাওয়া করলে তিনি জীবন বাঁচাতে দৌঁড়ে পালিয়ে বাঁচেন এর পর নন্দিতা রানী দাসের বসতঘর ভাংচুর করে এবং কুপিয়ে লন্ডভন্ড করে রেখে যায়।
তিনি আরো বলেন এর আগেও একাধিকবার তার বসতঘর জায়গাজমি দখল করতে একাধিকবার তাকে মারধর করা হয়।
ঘটনার বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত আব্দুল মোতালেব বলেন, আমি আমার স্ত্রীসহ চট্রগ্রাম বেড়াতে যাই এঘটনার সাথে আমি এবং আমাদের কেউ জড়িত নই, মহিলা তার নিজের ঘর নিজে ভেঙ্গে আমাদেরকে ফাঁসাতে চাইছে।
চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন মিয়া বলেন, মহিলার অভিযোগ পেয়ে সেখানে ফাঁড়ি থানার পুলিশ পাঠানো হয়েছে এবং ঐ মহিলাকে পু্লিশ বাড়ীতে তুলে দিয়ে এসেছে।
সোলেমান বাজার ফাঁড়ি থানার এস আই মুর্মু সিং মারমা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে আমি পরিদর্শন করেছি ভাংচুরের আলামত ছবি তুলে নিয়ে এসেছি, তদন্ত চলমান বাদীর সাথে আলাপ করে পরবর্তি পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।