বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন শিক্ষামন্ত্রী।
এর আগে গত ৩০ জুন সংসদে বাজেট পাসের প্রক্রিয়ার সময় বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের বিভিন্ন ছাঁটাই প্রস্তাবের জবাব দিতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী এ বিষয়ে কথা বলেন।সেদিন শিগগিরই এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে সংসদে জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী।
এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে মন্ত্রী বলেছিলেন, বিশ্বের বহু দেশ এমন কি উন্নত বিশ্বের দেশগুলোও পাবলিক পরীক্ষা বাতিল করেছে। কোনো কোনো প্রেডিকটেড গ্রেড দিচ্ছে। আমরা সেখানে ২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে ফেলেছিলাম। এইচএসএস পরীক্ষা শুরুর দিক দুই/তিনদিন আগে বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিলাম। পরে আমরা জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে তার ফলাফল দিয়েছিলাম। আমরা যেভাবে বিচার বিশ্লেষণ ও টালি করে ফলাফল দিয়েছি দুই একটি ব্যক্তিক্রম ছাড়া পরীক্ষা হলে শিক্ষার্থীদের ফলাফল এরকমই হতো। কাজেই কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
তিনি বলেন, এ বছরের সিদ্ধান্ত আমরা খুব শিগগিরই জানাব। কী পদ্ধতি আমরা করব, সবকিছুই আমরা জানাব।
দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করলে গত বছরের ১৭ মার্চ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়।তবে সংক্রমণ দেখা দেওয়ার ঠিক আগেই এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়েছিল।কিন্তু এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা আটকে যান।
ছুটির সময় কোনো পাবলিক পরীক্ষা হয়নি। আর উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন ফল প্রকাশ করা হয় তাদের এসএসসি ও জেএসসির ফলের গড় করে।
চলতি বছরে কয়েক দফায় স্কুল ও কলেজ খোলার দিনক্ষণ নির্ধারণ এবং প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলা হলেও মহামারি পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি।
সর্বশেষ গত ৩০ জুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা থাকলেও তা আবার পেছানো হয়েছে।