বান্দরবান প্রতিনিধি : বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র নায়েবে আমীর, সাবেক সংসদ সদস্য ও জামায়াতের সংসদীয় দলের নেতা জনাব অধ্যাপক মুজিবুর রহমান এর সাথে সাক্ষাৎ করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ, বান্দরবান পার্বত্য জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ। আজ (২৪/১২/২০২৪) রাত ৮টায় বান্দরবানে সি. নায়েবে আমীরের সাথে সাক্ষাৎ পূর্বক ছাত্র পরিষদের দাবি দাওয়া ও কার্যক্রম সম্পর্কিত স্মারকলিপি প্রদান করেন। এছাড়াও ছাত্র পরিষদের প্রচারিত দাবি দাওয়া সম্বলিত লিফলেটও তুলে দেন।
এসময় ছাত্র পরিষদ’র বান্দরবান জেলা সভাপতি জনাব আসিফ ইকবাল এর নির্দেশনায় উপস্থিত ছিলেন ছাত্র পরিষদ’র বান্দরবান জেলা সাধারণ সম্পাদক জনাব হাবিব আল মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব তানভীর হোসেন ইমন এবং দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জনাব মিসবাহ উদ্দিন।
ছাত্র পরিষদ নেতৃবৃন্দ পাহাড়ের বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে বলেন, পাহাড়ে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে জাতিগত বৈষম্য, শোষণ, বঞ্চনা এবং দৈন্য দশা। শিক্ষা, চাকরী এবং রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব সহ প্রতিটি ক্ষেত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং পিছিয়ে পড়া জাতিগোষ্ঠীর চেয়ে নির্দিষ্ট কয়েকটি জাতিসত্তা সবচেয়ে বেশি সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে। বাঙালিরা পাহাড়ে মোট জনসংখ্যার ৫৮ শতাংশ হয়েও সর্বক্ষেত্রে তারা জুলুম, নির্যাতন, বৈষম্য এবং শোষণের শিকার। নেতৃবৃন্দ পাহাড়ের ভুমি, শিক্ষা ও যাবতীয় সমস্যাবলী সমাধানে এবং সকল সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর সম অধিকার প্রতিষ্ঠায় জামায়াতে ইসলামীর অগ্রণী ভুমিকার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সিনিয়র নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান স্মারকলিপি গ্রহণ করে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এখানে উপজাতি ও বাঙালী জনগোষ্ঠীরা সম্প্রীতির সাথে একত্রে বসবাস করছে। রয়েছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অপূর্ব মেলবন্ধন। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা সমাধানে এবং সকল জাতিগোষ্ঠীর সম অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নাগরিক পরিষদ এবং ছাত্র পরিষদ’র ভুমিকার প্রশংসা করেন। ছাত্র পরিষদের এই আন্দোলনকে তিনি সমর্থন করেন বলেও জানান। পরিশেষে বলেন, পাহাড়ের চলমান সমস্যা সমাধানে এবং সকল জনগোষ্ঠীর সমান অধিকার প্রতিষ্ঠায় জামায়াতে ইসলামী অতীতেও গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছে এবং ভবিষ্যতেও অগ্রণী ভুমিকা রাখবে।