1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৫ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
অবৈধ বিদেশি নাগরিকদের ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখের মধ্যে বৈধতা অর্জনের সময়মীমা বেঁধে দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিবালয়ের অগ্নিদুর্ঘটনায় নিহত ফায়ারফাইটার নয়নের জানাজা সম্পন্ন সচিবালয়ে আগুন, যা বললেন উপদেষ্টা আসিফ শেখ হাসিনা আমলের নথি চাওয়ার পরই তা গায়েব করতে আগুন : রুহুল কবির রিজভী মরহুম ফজলুল হক চেয়ারম্যানের স্মরণ সভায় অংশগ্রহণ করতে পারছেন না বলে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন : বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন হাসিনা পরিবার ও তার দোসরদের দুর্নীতির নথিপত্র ধ্বংস করার জন্যে কি এই পরিকল্পিত অগ্নিকাণ্ড? ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বান্দরবানৈর লামায় ত্রিপুরাদের বসতঘরে আগুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪ *অনির্বাচিতরা দীর্ঘদিন থাকলে অপকর্মে জড়ানোর শঙ্কা* সীতাকুণ্ডের কুমিরাতে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কালিহাতিতে মিনি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত

বড়দিন উদযাপন ও শান্তা নিয়ে কিছু কথা

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৬৪ বার দেখা হয়েছে

মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেইন : ইসলাম ধর্ম এবং মুসলিম মিল্লাত খৃষ্ট ধর্মের এই বড়দিন উদযাপন কে কোন ভাবে সমর্থন করে না। কোরান হাদিসে এবং বিশ্ব মানবতার মহান শিক্ষক মোহাম্মদ সঃ এই অপসংস্কৃতির পরিহার করতে বলেছেন। এদিনকে কেন্দ্র করে শুভেচ্ছা বিনিময় করা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়া এসমস্ত কুকর্মের সাথে সম্পৃক্ত হওয়া নিষিদ্ধ করেছেন।

অতএব বর্তমান বিশ্বের মাঝে মুসলিম কমিউনিটির কিছু লোক কিছু কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ এসময় খৃষ্টান ধর্মালম্বীদের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে নানান ধরনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন। এটা কোন ভাবে সমর্থন করা যায় না।
সুরা কাফিরুন : মহান সৃষ্টিকর্তা পরিস্কার করে বলেছেন
“লাকুম দ্বিনুকুম ওয়ালিয়া দ্বিন ” তুমরা তোমাদের ধর্ম পালন কর, আমারা আমাদের ধর্ম পালন করব ”
এতে কোন রকমের আপুষ নেই!!
বর্তমান বিশ্বের মাঝে মুসলিম সমাজে নতুন প্রজন্ম খৃষ্টান ধর্মালম্বীর অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানে যোগ দেন। শুভেচ্ছা বার্তা বিনিময় করেন। ফেইসবুক পেইজে, টিভি মিডিয়া,Social Media রেষ্টুরেন্টে কাস্টমারদের সাথে Marry Christmas বলে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হলো! যখন এই বড়দিন উদযাপন করেন যখন এসমস্ত অনৈতিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত হন, তখন মনে কি চিন্তা ভাবনা করেন? এটা শিরিক গুনাহ!!
একবার ভাবুন!! Marry Christmas বলার অর্থ কি?
একবার চিন্তা করুন এই বাক্য কি অর্থ বহন করে!! এবং তার পরে সেটা অনুসরণ করুন।
এই শুভেচ্ছা শুভকামনা বার্তাকে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় এর ভাবার্থ দাঁড়ায়
মরিয়ম ছিলেন বিবাহিত নারী। তাহলে মরিয়ম কে কে বিবাহ করেছেন? মুলত ইসলাম ধর্ম এবং পবিত্র কোরান এগুলো কে পরিস্কার করে বিশ্লেষণ করে দিয়েছে।
মরিয়ম ছিলেন কুমারী মহিলা এবং মহান রাব্বুল আলামীনের অসীম করুণা ও রহমতে কুমারী মহিলা গর্ভবতী হয়েছিলেন।
তাঁর অপূর্ব অসাধারণ মহিমায় কুমারী মরিয়মের গর্ভে জন্ম নিয়েছিলেন হযরত ইসা নবী ও রাসুল। এটা মহান সৃষ্টিকর্তার
জীবন্ত মোজেজার নিদর্শন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য খৃষ্টান ধর্মালম্বীরা এটা বিশ্বাস করে না!!
অতএব এসমস্ত কৃত্তিম বিতর্কিত ব্যাপারে সমর্থন দেয়া এবং কোন শুভেচ্ছা শুভকামনা বার্তা দেয়া সঠিক নয়। এটা চিন্তা ভাবনা করা খুবই জরুরী।
বারাদারানে ইসলাম এই সমস্ত ইসলাম ধর্ম বিরুধী শিক্ষা সংস্কৃতি বিরুধী অপসংস্কৃতি পরিহার করতে হবে ইনশাআল্লাহ বি ফাজলিল্লাহ।
এই মহূর্তে পৃথিবীর প্রায় দু’শ দেশে খৃষ্টান ধর্মালম্বীরা এই বড়দিন উদযাপন করছে।

খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ‘ক্রিসমাস’ বা ‘বড়দিন’। বড়দিন হলো মহামতি যিশুখ্রিস্টের জন্মদিন। রোমান ক্যাথলিকদের মতানুসারে, ২ হাজার ১৯ বছর পূর্বের এই দিনেই জেরুজালেমের বেথলেহেম শহরের এক গরিব কাঠুরের গোয়ালঘরে কুমারী মাতা মেরির গর্ভে জন্ম হয় শিশু যিশুর। সেই থেকেই দিনটিকে ‘বড়দিন’ হিসেব আখ্যায়িত করা হয়। বাংলাদেশ পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত। পৃথিবীর এই অংশে বছরের সবচেয়ে দীর্ঘতম দিন ২১ জুন। অন্যদিকে ২১ ডিসেম্বর হলো এ অঞ্চলে সবচেয়ে ছোট দিন। সে হিসেবে ২৫ ডিসেম্বর দিনটি তো ছোট হওয়ার কথা অথচ আমরা কেন এই দিনটিকে বড়দিন বলে আখ্যায়িত করে থাকি? আসলে ২৫ ডিসেম্বর দিনটি আয়তনের দিক থেকে কোনো মতেই বড় নয়। তবে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের কাছে দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এ দিনটিকে তারা যিশুখ্রিস্টের জন্মদিবস হিসেবে উদযাপন করে থাকেন। এ জন্যই তারা এই দিনটিকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন বা বড়দিন মনে করেন।

সাধারণভাবে খ্রিস্টান সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ বিশ্বাস করে এই দিনেই যিশুখ্রিস্টের জন্ম হয়েছিল। এই উপলক্ষে ২৫ ডিসেম্বর তারিখটিকে যিশুর জন্মজয়ন্তী হিসেবে পালন করা হয়। তবে এখনও যিশুখ্রিস্টের ঐতিহাসিক সত্যতা সম্পর্কে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। তবে আদিযুগীয় খ্রিস্টানদের বিশ্বাস এই দিনে যিশুখ্রিস্ট মাতা মেরির গর্ভে প্রবেশ করেছিলেন। ২৫ ডিসেম্বর দিনটি বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে পরিচিত হওয়ার পেছনে রয়েছে এই নামগুলোর শব্দগত ব্যুৎপত্তি। বেথেল
গ্রিক বর্ণমালা এবং একাডেমির বাংলা অভিধানে ‘বড়দিন’-এর উল্লেখ পাওয়া যায়। এ ছাড়াও দিনটির ইতিহাস সম্পর্কে জানাতে এর ভৌগোলিক ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়েছে গ্রন্থটিতে। অভিধানটির তথ্য অনুসারে, যিশুখ্রিস্টের জন্মমাস বলেই পুরো মাসকে ‘খ্রিস্টমাস’ বলা হয়। সেখান থেকেই এসেছে খ্রিস্টের মাস। তবে এখানে মাস শব্দের শাব্দিক অর্থ হিসেবে উৎসব বোঝানো হয়েছে। সেই থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে এই দিনটি ‘এক্স মাস’ নামেও পরিচিতি পায়। ইতিহাস কিংবা শব্দগত ব্যুৎপত্তি যাই হোক না কেন কোনো উৎসবের প্রকৃত প্রাণ লুকিয়ে থাকে সেই উৎসবটির উদযাপনের মধ্যে।

এই দিনটিকে ‘বড়দিন’ আখ্যায়িত করার পেছনে ভৌগোলিক ব্যাখ্যাও রয়েছে। উত্তর গোলার্ধে দক্ষিণ অয়নান্ত দিবস হিসেবে বড়দিনকে দেখা হয়। অর্থাৎ ২৩ ডিসেম্বর থেকে দিন বড় হতে থাকে এবং অন্যদিকে রাত হতে থাকে ছোট। তাই ২৫ ডিসেম্বরকে ‘বড়দিন’ বলে আখ্যা দেন দার্শনিকরা। দার্শনিকদের মতে, মর্যাদার দিক থেকে এটি একটি ‘বড়দিন’। তাই এই নামকরণে যুক্তিও আছে।

শুরুতে ইস্টার সান ডে ছিল খ্রিস্টানদের একমাত্র ছুটির দিন। যিশুর জন্মদিন সে সময় উদযাপন করা হতো না। চতুর্থ শতাব্দীতে গির্জার কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত নেন যিশুর জন্মদিনও ছুটির দিন হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রকৃতপক্ষে যিশুখ্রিস্টের জন্ম কবে হয়েছিল সে কথা কেউই জানে না। কোথাও লেখাও নেই তার জন্মদিনের কথা। এমনকি বাইবেলেও যিশুর জন্মদিনের কোনো উল্লেখ নেই। তবে কিছু প্রমাণ এটাই ইঙ্গিত দেয়, বসন্তে জন্মেছিলেন যিশু (নয়তো শীতের মাঝামাঝি সময়ে মেষপালকরা পশু লালন-পালন করবে কেন?)। এসব প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও ৩৫০ খ্রিস্টাব্দে রোমের বিশপ পোপ প্রথম জুলিয়াস ২৫ ডিসেম্বরকে যিশুখ্রিস্টের জন্মদিন হিসেবে ঘোষণা করেন। তখন থেকেই এই দিনটি বড়দিন বা ক্রিসমাস ডে হিসেবে উদযাপন হয়ে আসছে। শুরুতে যিশুর জন্মদিনের নাম দেওয়া হয় ‘ফিস্ট অব দ্য ন্যাটিভিটি’, যা ৪৩২ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে মিসরে ছড়িয়ে পড়ে এবং ষষ্ঠ শতাব্দীর শেষে ইংল্যান্ডে পৌঁছায়।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ‘বড়দিন’ একই দিনে পালন হলেও রাশিয়া, জর্জিয়া, মিসর, আর্মেনিয়া, ইউক্রেন ও সার্বিয়ার মতো কয়েকটি দেশে এই উৎসব পালিত হয় ৭ জানুয়ারি। জুলিয়ান বা জর্জিয়ান ক্যালেন্ডারের হিসাব মেনেই এসব দেশে উৎসবটি পালিত হয়। শুধু তাই নয়, আর্মেনিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারীরা ৬ জানুয়ারি ‘বড়দিন’ পালন করেন। ‘বড়দিন’ পালন নিয়ে তাই অনেক মতভেদ রয়েছে। স্থান-কাল-পাত্রভেদে নানা মতভেদ থাকলেও ২৫ ডিসেম্ববরেই উৎসবটি মহাসমারোহে পালিত হয় বিশ্বজুড়ে। এই দিনে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতে উঠে সবাই।

বড়দিনে ক্রিসমাস ট্রি সাজানোর রেওয়াজ হাজার বছরের পুরোনো। ক্রিসমাস ট্রি বলতে আমরা যা বুঝি, তার প্রচলন জার্মানরাই প্রথম শুরু করেন। ষষ্ঠদশ শতাব্দীতে যিশুখ্রিস্টের জন্মদিন উপলক্ষে জার্মানির ধর্মপ্রাণ খ্রিস্টানরা তাদের ঘর সাজানোর জন্য গাছ সংগ্রহ করতেন। উত্তর ইউরোপে সে আমলে ফারগাছ বা চেরিগাছকে আলো দিয়ে সাজানো হতো। ক্রমান্বয়ে এই রীতি ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে। আজকাল আমাদের দেশের খ্রিস্টানরাও বড়দিনে আলোয় আলোয় সাজিয়ে তোলেন ক্রিসমাস ট্রি।

ধারণা করা হয়, ওই শতাব্দীর জার্মানির ধর্মতত্ত্বের অধ্যাপক, যাজক ও প্রটেস্ট্যান্ট সংস্কারক মার্টিন লুথার প্রথম বড়দিনের গাছে আলোকিত মোমবাতি যুক্ত করেন। শীতের এক সন্ধ্যায় ঘরে ফেরার সময় চিরসবুজ গাছের ফাঁক দিয়ে আকাশে জ্বলজ্বলে তারার দীপ্তি মুগ্ধ ও বিস্মিত করে তাকে। পরিবারকেও এই স্বর্গীয় অনুভূতির স্বাদ দিতে ঘরের ড্রয়িং রুমে একটি গাছ নিয়ে আসেন মার্টিন লুথার আর তার শাখা-প্রশাখায় আলোকিত মোমবাতি ঝুলিয়ে দেন।

বড়দিনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে আছে সান্তা ক্লজের নাম……..

ছোটদের কাছে উপহার পৌঁছে দেওয়ার প্রবাদ নিয়ে এই ব্যক্তিত্ব বড়দিন উদযাপনে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন। অনেকের মতে সান্তা ক্লজ নামটি ডাচ সিন্টারক্লাস নামের অপভ্রংশ, যার সাধারণ অর্থ হলো সেন্ট নিকোলাস।

খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী শিশুরা বিশ্বাস করে-যেসব শিশু সারা বছর পিতা-মাতার কথা শোনে, বড়দিনের আগের রাতে সান্তা ক্লজ তাদের উপহার দিয়ে যান। এ জন্য এই রাতে তারা ঘরের যেকোনো জায়গায় মোজা ঝুলিয়ে রেখে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যায়। সকালে উঠে তারা দেখে মোজার ভেতরে রয়েছে সুন্দর কোনো উপহার। আসলে শিশুদের পিতা-মাতা বা আপনজনরা তাদের জন্য এসব উপহার রেখে দেন। বর্তমানে বড়দিনের উৎসব উপলক্ষে বিভিন্ন হোটেল-রেস্টুরেন্টে বা বিনোদন পার্কে দেখা মেলে মুখভর্তি সাদা লম্বা দাড়ি-গোঁফ, পরনে লাল-সাদা আলখেল্লা, টুপি, চামড়ার বেল্ট ও বুট জুতা পায়ে সান্তা ক্লজের।

কথিত আছে যে, তুরস্কের এক প্রত্যন্ত অঞ্চলে এক দরিদ্র ব্যক্তি টাকার অভাবে তার তিন মেয়েকে বিয়ে দিতে পারছিলেন না। এ কথা জানতে পেরে নিকোলাস গোপনে তাকে সাহায্য করার চিন্তা করেন। ওই ব্যক্তি সেদিন বাড়ির ছাদে মোজা শুকাতে দিয়েছিলেন। নিকোলাস ছাদে উঠে সেই মোজার মধ্যে স্বর্ণের মুদ্রা রেখে দেন। একবার নয় তিনবার এভাবে স্বর্ণের মুদ্রা রাখার জন্য সেখানে যান তিনি। শেষবার যাওয়ার সময় সেই দরিদ্র ব্যক্তি নিকোলাসকে দেখে ফেলেন। নিকোলাস তার সাহায্যের কথা কাউকে জানাতে নিষেধ করেন। কিন্তু এ ঘটনার কথা চাপা থাকে না; ধীরে ধীরে তা তুরস্কসহ আশপাশের সব দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকেই মানুষের মধ্যে এই বিশ্বাস জন্ম নেয় যে বড়দিনে মোজা ঝুলিয়ে রাখলে সান্তা ক্লজ এসে তাতে উপহার রেখে যান।

বহুদিন আগের কথা। আনুমানিক ২৮০ খ্রিস্টাব্দে তুরস্কে বিশপ সেন্ট নিকোলাস নামে একজন ধর্মগুরু ছিলেন। সেন্ট নিকোলাস নাম থেকেই মূলত সান্তা ক্লজ নামের উৎপত্তি। সন্ন্যাসী নিকোলাস জীবনের একপর্যায়ে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া তার সব সম্পত্তি গরিবদের দান করে দিয়েছিলেন। ছোটবেলায় মা-বাবাকে হারিয়েছিলেন তিনি। তাই অনাথ শিশুদেরও তিনি খুব ভালোবাসতেন। গ্রামে গ্রামে ঘুরে দরিদ্র ও অসুস্থদের সাহায্য করতেন নিকোলাস। ধীরে ধীরে শিশু ও নাবিকদের রক্ষাকর্তা হিসেবে পরিচিতি পান তিনি। রাতের আকাশে যখন অর্ধেক চাঁদ থাকত তখন তিনি উপহার নিয়ে বের হতেন। এতে করে কেউ তাকে চিনতে পারত না।

অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে প্রথম প্রবেশ ঘটে নিকোলাসের। সে সময় নিউইয়র্কে বসবাসরত ডাচরা (নেদারল্যান্ডসের নাগরিকরা) ৬ ডিসেম্বর সেইন্ট নিকোলাসের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করত। ১৮২২ সালে আমেরিকান লেখক ক্লেমেন্ট ক্লার্ক মুর বড়দিন নিয়ে ‘অ্যান অ্যাকাউন্ট অব এ ভিজিট ফ্রম সেইন্ট নিকোলাস’ নামে এক কবিতা লিখেন। এই কবিতার প্রথম চরণের জন্যই এখন বেশি পরিচিত কবিতাটি।

কবিতায় সান্তা ক্লজকে হাসিখুশি এক ব্যক্তি হিসেবে দেখানো হয়েছে যিনি বল্গা হরিণচালিত এক টমটম গাড়িতে চড়ে ঘরে ঘরে শিশুদের কাছে খেলনা বিতরণ করেন। মুখে সাদা দাড়ি গায়ে লাল জামা ও খেলনা বিতরণ অবস্থায় সদা হাস্যোজ্জ্বল সান্তা ক্লজের সেই আইকনিক অবয়ব ১৮৮১ সালে অমরত্ব পায়। ওই বছর জার্মান বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক ও রাজনৈতিক কার্টুনিস্ট টমাস ন্যাস্ট লেখক ক্লেমেন্ট ক্লার্ক মুরের কবিতার বিষয়বস্তু কলমের কালিতে ফুটিয়ে তোলেন। সেখানে সান্তা ক্লজকে যেভাবে আঁকা হয়, ঠিক সেই সান্তাই আজ খিস্টান ধর্মাবলম্বীসহ সব মানুষের কাছে সুপরিচিত।

সপ্তদশ শতাব্দীর শুরুতে ইউরোপে ব্যাপক ধর্মীয় সংস্কার বড়দিন উদযাপনের ধরন পাল্টে দেয়। ১৬৪৫ সালে রাজা প্রথম চার্লসকে ক্ষমতাচ্যুত করেন সামরিক নেতা অলিভার ক্রমওয়েল ও তার পিউরিটান বাহিনী। তারা ইংল্যান্ডকে অবক্ষয়ের হাত থেকে বাঁচানোর শপথ নেন। এরই অংশ হিসেবে বড়দিন উদযাপন বাতিল করা হয়। পরে রাজা দ্বিতীয় চার্লস সিংহাসনে বসলে জনগণের দাবি মেনে ফের বড়দিন উদযাপন শুরু হয় এবং এখন অবধি বিশ্বজুড়ে সেই উৎসব উদযাপিত হয়ে আসছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক :
মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেইন (ইউকে প্রবাসী)

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com