বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: ভাসানচরের অদূরে বঙ্গোপসাগরে ডুবে থাকা একটি জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যাওয়া এমভি হ্যাং গ্যাং-১ নামের জাহাজটি এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। গত মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম থেকে জাহাজটিতে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজের প্রায় ১৩ কোটি টাকার সরঞ্জাম নিয়ে ঢাকার মাওয়া যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। জাহাজটি পরিচালনা করছে মেসার্স জেড শিপিং লাইন।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) সকালে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক মো. সেলিমের সঙ্গে কথা হলে তিনি জাহাজটি নাবিকের অসচেতনতায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বলে মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, এরইমধ্যে জাহাজটি উদ্ধারে মালিককে ১৫ দিনের সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। তবে জাহাজটি সম্পূর্ণ ডুবে না যাওয়ায় এটি উদ্ধারে কম বেগ পেতে হবে।
ক্ষয়-ক্ষতির বিষয়ে জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, জাহাজটিতে চট্টগ্রাম থেকে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজের জন্য ১ হাজার ২০০ টন লোহার এঙ্গেল নেয়া হচ্ছিল। যার সবই জাহাজে এখনও রয়েছে। এছাড়া নাবিকরাও মাছ ধরার নৌকায় উঠে জীবন রক্ষা করেছেন। এতে মালামালের পাশাপাশি ১৩ জন নাবিকের মধ্যে কারও কোন ক্ষতি হয়নি।
এর আগে গত ৪ জুলাই ভাসানচর নতুন চ্যানেলের কাছে ডুবে যায় ‘এমভি একরাম জুনায়েদ-২’ নামের একটি লাইটার জাহাজ। এরপর গত ১০ জুলাই ডুবে থাকা জাহাজের সাথে ধাক্কা খেয়ে ফুলতলা-১ নামে আরো একটি লাইটার জাহাজ ডুবে যায়। সর্বশেষ মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) সকালে চট্টগ্রাম থেকে মাওয়া যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডুবন্ত একটি লাইটার জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে গেছে এমভি হ্যাং গ্যাং-১ নামে পণ্যবাহী জাহাজ।
বার বার দুর্ঘটনা ঘটার ব্যাপারে জানতে চাইলে মো. সেলিম বলেন, হাতিয়া নতুন চ্যানেলের কাছে ডুবে থাকা লাইটার জাহাজের সাথে ধাক্কা লেগেই বারবার দুর্ঘটনাগুলো ঘটছে। আমরা গত দু’দিন আগে দুর্ঘটনা কবলিত এলাকায় গিয়েছি। সেখানে ডুবে যাওয়া জাহাজের এলাকা চিহ্নিত করে গত ১১ জুলাই আমরা মার্কিং বয়া স্থাপন করেছি। জাহাজগুলো যেন নিরাপদে চলাচল করতে পারে সে ব্যাপারে আমরা সচেতন রয়েছি। কিন্তু ডুবে যাওয়া এমভি হ্যাং গ্যাং-১ নামক জাহাজটি নাবিকের অসচেতনতায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।