আবদুর রউফ, চৌদ্দগ্রাম কুমিল্লা প্রতিনিধি :চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুনবতী ইউনিয়নে কবির আহাম্মদ নামক এক ব্যক্তির পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে কমপক্ষে ৫ লক্ষ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (১১ জানুয়ারি) গভীর রাতে গুনবতী ষ্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী কবির আহাম্মদ জানান, তিনি বিগত ২০২০ সালে গুনবতী ষ্টেশন এলাকায় ০.৭৪ একর বিশিষ্ট পুকুরটি দরপত্রের মাধ্যমে লিজ নেন। পুকুরটি লিজ নিয়ে দরপত্রের চাহিদাপত্র অনুযায়ী সম্পূর্ন টাকা পরিশোধ করে সিজ দায়িত্বে পুকুরের মধ্যে মাছের চাষ শুরু করেন। তিনি চাকুরীর সুবাদে অন্যত্র অবস্থান করায় একই ইউনিয়নের বুধরা গ্র্রামের মৃত তাজুল ইসলামের পূত্র জসিম উদ্দিনকে পুকুরের মাছ দেখাশুনা ও রক্ষণাবেক্ষনের দায়িত্ব প্রদান করলে জসিম উদ্দিন পুকুর দেখাশুনা করে আসছেন। অপরদিকে পুকুরের জায়গার ভিতরে থাকা দোকানদারদের পক্ষে জনৈক জাহাঙ্গীর রেলওয়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট পিটিশন (৫৫৭৫/২০২১) দায়ের করেন। গত ২৭/০৯/২০২১ইং তারিখ বিজ্ঞ আদালত শুনানী শেষে রেলওয়ের পক্ষে রায় দিলেও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ পুকুরের জায়গায় থাকা দোকানদারদের উচ্ছেদের লক্ষে কোনও ধরনের কার্যকর প্রদক্ষেপ না নিয়ে নীরব ভূমিকা পালন করার ফলে দোকানদারগন পুকুরের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ময়লা আর্বজনা ফেলার পাশাপাশি পুকুর থেকে মাছ ধরে নিয়ে যায়। ভুক্তভোগী কবীর আহাম্মদ বিভিন্ন সময়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বরাবর মৌখিক ও লিখিতভাবে বারংবার অভিযোগ করার পরও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ পুকুরের জায়গার ভিতরে থাকা অবৈধ দোকানদারদের উচ্ছেদে কোনও প্রদক্ষেপ গ্রহন করেনি।
ভুক্তভোগী কবীর আহাম্মদ আরো জানান, বিগত কয়েকদিন যাবৎ থেকে তিনি অন্যত্র অবস্থান করছেন। এই সুযোগে অজ্ঞানামা দুর্বৃত্তরা শুক্রবার (১১ জানুয়ারি) গভীর রাতে তার পুকুরের মধ্যে কীটনাশক বিষ ঢেলে দিলে পুকুরের থাকা বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকার মাছ মরে পুকুরের পানিতে ভাসতে থাকে। পুকুরের দায়িত্বে থাকা জসিম উদ্দিন সকাল বেলা এসে পুকুরের পানিতে মাছ মরে ভাসতে দেখে তাৎক্ষনিক আমাকে অবহিত করিলে আমি ঘটনার বিষয়টি অবগত হইয়া স্থানীয় গন্যমান্য লোকজনকে জানাইলে তাহারা ঘটনাস্থলে আসিয়া ঘটনার বিষয়টি স্বচক্ষে দেখে। এই ঘটনায় আমার প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। যারা এই ঘৃণ্য কাজ করেছে তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য সাংবাদিকদের মাধ্যমে জোর দাবি জানাচ্ছি।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজনের মধ্যে গজারিয়া গ্রামের সফিকুর রহমান, দশবাহা গ্রামের মহিন উদ্দিন, মোঃ জাফর, মোঃ সুমন ও খাটরা গ্রামের মোবারক হোসেন সাংবাদিকদের জানান, শুক্রবার গভীর রাতে কেবা কাহারা কবীর আহাম্মদ এর পুকুরের মধ্যে বিষ ঢেলে দেয়। যারফলে পুকুরে থাকা ৩৫-৪০ মণের মতো মাছ মরে যায়।