বঙ্গ নিউজ বিডি প্রতিনিধি : রসুল সা এর মিরাজের উপহার। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নবুয়তের একাদশ বর্ষে অথবা দ্বাদশ বর্ষে মহান আল্লাহর সাক্ষাৎ লাভ করেন। ঘটনাটিকে কুরআনের ভাষায় ইসরা ও হাদীসের ভাষায় মেরাজ বলা হয়। ইসরা শব্দের অর্থ নৈশ ভ্রমণ। মেরাজ শব্দের অর্থ উর্ধগমনের সিঁড়ি। কুরআনের সূরা বনী ইসরাইলের প্রথম আয়াত দ্বারা ইসরা প্রমাণিত।আর প্রায় চল্লিশ জন ছাহাবীদের বর্নিত হাদীস দ্বারা মেরাজ প্রমাণিত। মেরাজ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ। তিনি মহান আল্লাহর সাক্ষাৎ লাভ করে বিশ্ব মানবতার জন্য যে উপহার এনেছেন, তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হলো।
১, পাঁচ ওয়াক্ত সালাত। যা ফজিলতের দিক দিয়ে পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাতের সমান।
২, সূরা বাকারার শেষ দুটি আয়াত যা মেরাজেই নাযিল হয়।
৩, শিরক মুক্ত ইবাদত করলে জান্নাতের প্রতিশ্রুতি।
৪, পিতা মাতার হক আদায় করা।
৫, অপরাধ হলে তওবা ইস্তেগফার করে নেক আমলে ফিরে আসা।
৬, আত্নীয় স্বজন,ইয়াতীম মিসকিন ও মুসাফিরের হক আদায় করা।
৭, অপচয় ও অপব্যয় পরিহার করা।
৮, পাওনাদারের পাওনা পরিশোধ করা।
৯,সম্পদ উপার্জন ও ব্যায়ের মধ্যে সমতা রক্ষা করা।
১০, অভাবের ভয়ে সন্তান কে হত্যা না করা।
১১, যিনা ব্যভিচারের ধারে কাছেও না যাওয়া।
১২, কাউকে অন্যায়ভাবে হত্যা না করা।
১৩, ওজনে কম না দেয়া।
১৪, যে বিষয়ে জ্ঞান নেই সে বিষয়ের পিছনে লেগে না থাকা।
১৫, সর্বদা অহংকার পরিহার করা।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মেরাজ থেকে ফিরে এসে জাতির সামনে ইসলামী সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার রূপরেখা তুলে ধরেন।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে মেনে চলার তৌফিক দান করুন।
লেখক : হাফেজ মাওলানা মুফতি আব্দুল হালীম আযহারী। খতীব, আল হেরা জামে মসজিদ, পূর্ব শেখদি, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা।