মো:রমিজ আলী,সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি(চট্টগ্রাম) : সিতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া-গুপ্তছড়া ফেরিঘাটের চলমান কার্যক্রম পরিদর্শনে আসেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। এসময় তিনি বলেন, চট্টগ্রাম থেকে সন্দ্বীপ যাওয়া শাস্তির মতো।মানুষ কে শাস্তি দিতে চাইলে বলতে পারেন, তুমি সন্দ্বীপ চলে যাও। মহিলাদের কোমড় পানিতে নামতে হয়। মাথার উপর মালপত্র নিয়ে নৌযানে উঠতে হয়। এসব ছাড়াও ঘাটে নানান অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা তো রয়েছেই।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে বাঁশবাড়িয়া-গুপ্তছড়া ফেরিঘাটের চলমান কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।দেশে যেসব জায়গায় উন্নয়নের ছোঁয়া পৌঁছেনি সেসব জায়গায় পৌঁছাতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সন্দ্বীপের মানুষকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে। মানুষ বাড়িতে যাওয়া বা আত্মীয়-স্বজনদের সাথে দেখা করা তো অপরাধ না। আমার বাড়িও সন্দ্বীপ। আমার বাড়ি যাওয়ার তেমন কারণ নাই। এজন্য এটা সন্দ্বীপের ইস্যু না। এটি উন্নয়নের ইস্যু। উন্নয়ন সব ঢাকা কিংবা বড় শহরে হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ অনুযায়ী, যেসব জায়গায় উন্নয়নের ছোঁয়া পৌঁছেনি সেসব জায়গায় পৌঁছাতে হবে।’
দ্বীপ জেলা ভোলাতে ব্রিজ করার পরিকল্পনা রয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা ফাওজুল কবির বলেন, ‘আমরা অন্যান্য যেসব বিচ্ছিন্ন জেলা—যেমন ভোলাতে আমরা ব্রিজের চিন্তা করছি। সন্দ্বীপের ব্যাপারেও ফেরিটা কতটুকু সফল হয় সেটা দেখে পরবর্তীতে আমরা সড়ক যোগাযোগের দিকে ভাববো। তবে মনে রাখতে হবে সড়ক নির্মাণ খুবই ব্যয়বহুল। এজন্য ওখানে যদি কোনো অর্থনৈতিক ক্রিয়াকাণ্ড না হয় তবে সড়কের বিনিয়োগ ঠিক হবে না।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, সীতাকুণ্ড উপজেলা নিবার্হী অফিসার কে এম রফিকুল ইসলাম চট্টগ্রাম উওর জেলা জামায়াতে ইসলামির আমি আলাউদ্দিন সিকদার সহ প্রশাসন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গগন ।