1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৪ পূর্বাহ্ন

ডাক্তার ভর্তি নেননি, নবজাতকের জন্ম হলো নির্বাচন অফিসের বারান্দায়

রিপোর্টার
  • আপডেট : শুক্রবার, ২৩ জুলাই, ২০২১
  • ১৫৯ বার দেখা হয়েছে

বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: সুনামগঞ্জের দিরাই হাসপাতালে কোন ধরনের চিকিৎসা না করে দরিদ্র এক প্রসূতিকে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। হতভগা এই প্রসূতি মা উপজেলার ভাটিপাড়া ইউনিয়নের ডুলকর গ্রামের রুবেল মিয়ার স্ত্রী রেসমিনা বেগম। বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, প্রসব ব্যথায় কাতর স্ত্রীকে নিয়ে প্রত্যন্ত এলাকা থেকে দুর্গম পথ পেরিয়ে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন স্বামী রুবেল মিয়া। জরুরি বিভাগে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার ওই নারীকে ভর্তি না নিয়ে সিলেটে নিয়ে যেতে বলেন। তারা বাধ্য হয়ে শরণাপন্ন হন এক মেডিকেল অফিসারের। তিনিও একই পরামর্শ দেন। ভর্তির চেষ্টা করে ব্যর্থ রেস্তোরাঁ শ্রমিক স্বামী হাসপাতাল ফটকের সামনে স্ত্রীকে নিয়ে এসে অ্যাম্বুল্যান্সের খোঁজ করতে থাকেন। এ সময় স্ত্রীর প্রসব ব্যথা তীব্র হয়ে উঠলে তাকে নিয়ে ফটকের সামনে দিরাই নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের বারান্দায় যান। কয়েক মিনিটের মধ্যেই ফুটফুটে মেয়ে সন্তান জন্ম দেন তার স্ত্রী।

রাসমিনা’র স্বামী রুবেল মিয়া (২৭) বলেন, আমার স্ত্রীর প্রসব ব্যথা শুরু হলে আমি দিরাই হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসি। প্রথমে কাউকে পাইনি। অনেকক্ষণ খোঁজাখুজি করে একজনকে জরুরি বিভাগে পাই। তিনি আমার স্ত্রীকে সিলেট নিয়ে যেতে বলেন। আমি গরীব মানুষ। এতো টাকা কোথায় পাবো- এই চিন্তা করে বড় ডাক্তারের খোঁজ করতে থাকি।

নিরুপায় হয়ে সিলেট যাওয়ার জন্য রওয়ানা হই। হাসপাতালের গেটের সামনে যাওয়ার পর আমার স্ত্রীর ব্যথা সহ্য করতে পারছিল না। রাস্তার পাশের অফিসের রাস্তায় নিয়ে গেলে সঙ্গে থাকা আমার মা ও আরেকজন মহিলার সহযোগিতায় কাপড় দিয়ে পর্দা দিয়ে আমার স্ত্রী কিছু সময়ের মধ্যে ১ মেয়ে সন্তানের দেয়। এটি আমার প্রথম সন্তান। পরে আমি হাসপাতালে গিয়ে একজন নার্সকে ঘটনা বললে তিনি ওই অফিসের বারান্দায় এসে আমার স্ত্রী সন্তানকে দেখে যান। মা ও মেয়ে সুস্থ আছে এবং তাদের বাড়ি নিয়ে গেছেন বলে জানান রুবেল মিয়া।

আক্ষেপ করে রুবেল মিয়ার সঙ্গে থাকা তার ছোট ভাই জাহিদুল বলেন, যা দেখলাম হাসপাতালে, বলার ভাষা নাই। যাদের টাকা আছে, তাদের হাসপাতাল আছে, ডাক্তার আছে, চিকিৎসা আছে। যাদের টাকা নাই তাদের কিছু নেই।

ঘটনার সময়ে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. স্বাধীন কুমার দাস তার সিলেটের বাসায় ছিলেন। যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রসূতিকে হাসপাতালে ভর্তির জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু তারাই চলে গেছেন। তাড়িয়ে দেয়ার বিষয়টি মিথ্যা।

কর্তব্যরত চিকিৎসক আবাসিক মেডিকেল অফিসার বিদ্যুৎ রঞ্জন দাস বলেন, এই প্রসূতি হাসপাতালে এসেছেন বলে আমার জানা নেই। জরুরি বিভাগে আসলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হতো। পরে ওই মা নবজাতকে নিয়ে আসলে হাসপাতালে আসলে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com