এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও জোটভুক্ত সেনারা আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে তালিবান দ্রুততার সাথে বহু এলাকা, সীমান্তে বহু কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত পারাপারের স্থান দখলকরে নিয়েছে এবং বহু প্রাদেশিক রাজধানীর প্রতি হুমকি দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সামরিক অফিসার জেনারেল মার্ক মাইলি চলতি সপ্তাহে পেন্টাগনের সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তালিবান কৌশলগতভাবে গতিবেগ সঞ্চার করেছে, এবং তালিবানের পুরোপুরি ক্ষমতা গ্রহণের বিষয়টিও তিনি নাকচ করে দেননি। তিনি বলেন, ‘এটা অবশ্যম্ভাবী নয়, তবে আমি মনে করি না যে এই লড়াই শেষ হয়েছে।’
তিনি বলেন, ২০ বছর আগে যখন তালিবান ক্ষমতায় ছিল, তারা যেভাবে ইসলামী নীতি জোরপূর্বক চাপিয়েছিল, মেয়েদের শিক্ষা গ্রহণ করা থেকে বঞ্চিত করেছিল, মহিলাদের কাজ করতে বাধা দিয়েছিল, তা এখনো জনগণের মনে আছে। তাই তাদের ফিরে আসার আশঙ্কায় তারা ভীতসন্ত্রস্ত।
এদিকে হাজার হাজার স্বচ্ছল আফগান জনগণ, সঙ্কট থেকে বাঁচতে ভিসার জন্য আবেদন করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র-ন্যাটো জোটের প্রত্যাহার ৮৫ ভাগের বেশি সম্পন্নপ্রায় এবং প্রত্যাহারের দিন ধার্য রয়েছে আগস্টের ৩১ তারিখ পর্যন্ত।
তালিবান মুখপাত্র শাহীন বলেন, তালিবান অস্ত্রবিরতিতে রাজি হবে তখনি, যখন সকল পক্ষের আলোচনার ভিত্তিতে কাবুলে একটি সরকার গঠন করা হবে এবং গনি সরকারকে অপসারণ করা হবে।
সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা