বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : সারা দেশে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় কঠোর লকডাউন ঘোষণা দিয়েছে সরকার। বন্ধ রয়েছে সব শিল্প-কারখানা, হাটবাজার, দোকানপাট। তবে এই কঠোর লকডাউন অমান্য করেই গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার তুরাগ নদীতে চলছে অশ্লীল নাচ, গান আর পিকনিক।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার তুরাগ নদীর চাবাগান এলাকা থেকে কালিয়াকৈর বাজার চাপাইর ব্রিজ এবং মকস বিলের বিভিন্ন অংশে পিকনিকের নামে চলছে অশ্লীল নাচ গান। ইঞ্জিনচালিত নৌকায় জড়সড় হয়ে নাচ গান আর মাদক সেবনে মেতে উঠেছে তরুণরা। অনেকেই আবার আনন্দ বাড়াতে অল্প বয়সের তরুণীদের নিয়ে গান বাজনার নামে অসামাজিক কার্যকলাপে মেতে উঠেছে। পিকনিকের অসামাজিক কার্যকলাপ, নাচ গান আর মাদকের আখরা হয়ে উঠেছে তুরাগ নদী।
স্থানীয়দের অভিযোগ লকডাউনের মধ্যেও পিকনিকের নামে এসব অসভ্যতা দিন দিন বেড়েই চলছে। তবে প্রশাসন এখনো পর্যন্ত কোনো কঠোর পদক্ষেপ নেয়নি।
সুজন মিয়া নামে এলাকার এক বাসিন্দা জানান, পিকনিক আমরাও করেছি। তবে এমন পিকনিক তো দেখিনি। এসব দেখে আমাদের সমাজের নতুন প্রজন্মের ক্ষতি হবে।
শহীদুর রহমান নামে একজন বলেন, ‘এরা তো কোনো পিকনিক করছে না। অসভ্যতা করছে। মেয়ে নিয়ে অসামাজিক গান বাজনা করছে ছেলেরা। আমাদের গ্রামীণ সভ্যতা নষ্ট হচ্ছে। এসব বন্ধে আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা চাই।’
স্কুল শিক্ষিকা সুফিয়া আক্তার বলেন, ‘আমরা নদীর পাড়ে বসবাস করি। পরিবারের সঙ্গে একটু স্বাচ্ছন্দে সময় কাটাচ্ছি বা খাবার খেতে বসেছি, এমন সময় উচ্চস্বরে অসামাজিক গান বেজে উঠে। এরা পিকনিকের নামে সমাজকে নষ্ট করছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লকডাউন অমান্য করে স্থানীয় ইঞ্জিনচালিত নৌকার মালিক ও সাউন্ড সিস্টেমের মালিক পক্ষরা বিভিন্ন লোকজনের কাছে এসব ভাড়া দিচ্ছেন। ওইসব মালিকদের সহযোগিতায় পিকনিক চলছে।’
এ বিষয়ে কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ বলেন, ‘আমরা সারাক্ষণ ডিউটি করছি। প্রতিদিন বিভিন্ন স্থানে মোবাইল কোর্ট করছি। আমরা এই বিষয়টিও দেখছি। দ্রুত এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’